মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়ে এসেছিল তৃণমূল সরকার। মাঝে নির্বাচন ও করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ ছিল এই প্রকল্পের কাজ। তৃণমূল তৃতীয় বারের জন্য শাসকদল হিসাবে আসার পর আবারও শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কাজ।
এবার এই ‘দুয়ারে সরকার’-এর নতুন সংযোজন রাজ্য সরকারের ‘লক্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প। যা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। ফর্ম পূরণে প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে চোখে পড়ার মত। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পের জন্যও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আসছেন আমজনতা। আর এতেই সুযোগ নিচ্ছেন বেশ কিছু পঞ্চেয়েত সদস্য, ক্লাব ও শাসক দল ঘনিষ্ট ব্যক্তি।
সম্প্রতি দুয়ার সরকার ক্যাম্পে অসংখ্যক জালিয়াতি, ফর্ম বিলি নিয়ে বেনিয়ম, ফর্ম পূরণের নামে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বস্তিতে ফেলছে নবান্নকে। অভিযোগ, কোথাও প্রকাশ্যে, কখনও বা আড়ালে অর্থের বিনিময়ে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের ফর্মপূরণের কাজ চলছে। প্রশাসনের কাছেও সেই অভিযোগ পৌঁছেছে। যা বন্ধ করতে সোমবার নতুন করে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জেলাশাসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ফর্ম পূরণের সঙ্গে কোনও ভাবেই পঞ্চায়েত সমিতি বা ক্লাব সদস্যদের যুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজন হলে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী বা কলেজ পড়ুয়াদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ক্লাবের সদস্য বা অন্যান্যদের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। সোমবার এই মর্মে জেলায় জেলায় প্রশাসনের কাছে নির্দেশ গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডব্লিউবিসিএস-এর প্রশ্নে ‘সবুজ সাথী’, বিশিষ্টদের তোপ শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, গত ১৬ অগাস্ট থেকে রাজ্য-জুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। আর এই প্রকল্পের সূচনা থেকেই ক্যাম্পে ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভান্ডারে নাম নথিভুক্ত করানোর ভিড় চোখে পড়ার মতো। কিন্তু প্রকল্পগুলোর ফর্মবিলি, ফর্মপূরণ নিয়ে নানা বেনিয়মের অভিযোগ জমা পড়ছে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উত্তেজনা! পঞ্চায়েত কর্মীকে চড় বিডিওর
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য নবান্ন থেকে বার্তা দিয়েছিলেন, ফর্মবিলি ও পূরণের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য। সেইসময় তিনি বলেছিলেন যে, “দুয়ারে সরকার ছাড়া অন্য কোথাও থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে না। কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।”
ইতিমধ্যেই ক্লাব, পঞ্চায়েত, পুরসভা, সব জায়গা থেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও বিনিময়ে ৫, ১০, ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই সরকারি প্রকল্পের ফর্মবিলি ও পূরণে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দেয় নবান্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584