নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
মহামারী নোভেল করোনার ভাইরাসের থাবায় ইতিমধ্যে গোটা রাজ্য জুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন আগে সরকারি বিশেষ নিয়মাবলীতে জারি করা হয় সমস্ত মানুষকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

তাই এবার রাজ্যের অন্যতম হটস্পট পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার শহীদ মাতঙ্গিনি ব্লক এর ডিমারি হাইস্কুল মাঠে শুরু হল ‘নো মাস্ক, নো সেল’ পদ্ধতির বাজার। তাই তমলুকের ডিমারিতে আজ থেকে এই পদ্ধতিতে চালু হয় বাজারে। শনিবার শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ধলহারা গ্রাম পঞ্চায়েত ও রঘুনাথপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকার প্রায় সমস্ত এনজিও ও ক্লাব সংগঠন যৌথ ভাবে করোনা সংক্রমন রুখতে এই ধরনের বাজার বসানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বাজারে বিক্রি না করে নিজের চাষ করা টমেটো বিলি কৃষকের
ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে হটস্পট এলাকা গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও। জেলার তমলুক থানার বল্লুক গ্রাম পঞ্চায়েতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এমন পরিস্থিতিতে তমলুকের আশে পাশের গ্রাম গুলোর মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার তারই পাশাপাশি অভিনব ভাবে সুরক্ষিত বাজারের ব্যবস্থা করল এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত।
ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক পার্থ ঘোষ প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতিকে সুরক্ষিত বাজার বসানোর ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর ডিমারি এলাকায় এভাবে ‘নো মাস্ক, নো সেল’ পদ্ধতি চালু করল স্থানীয় ধলহারা গ্রাম পঞ্চায়েত ও রঘুনাথপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। এতদিন ডিমারি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসতো বাজার। যার ফলে সংক্রামন বাড়ার সম্ভাবনা প্রায় থেকে যাচ্ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও করোনা প্রতিরোধ মঞ্চের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ডিমারি হাই স্কুল সংলগ্ন মাঠে বসবে সমস্ত বাজার। তাই প্রত্যেক দিন সকাল বেলাতেই শুধুমাত্র বসতে দেওয়া হবে এই বাজার।
যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই মাস্ক না পরলে তারা এই বাজারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না। যার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বাজারে ঢোকার মুখে বিশেষ নজর দারি চালানো হচ্ছে ও মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছে।
এদিন শহীদ মাতঙ্গিনি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উত্তম সাহু বলেন, ‘সরকারি নিয়মকে প্রাধান্য দিয়ে বড় এবং খোলা জায়গাতে স্টল তৈরি করে বাজার বসানো হয়েছে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পরে বাজারে প্রবেশ করতে হবে সকল ক্রেতাদের, নচেৎ বাজারে কোন মতেই ঢোকা যাবে না”।
পাশাপাশি ডিমারি বাজার কমিটির সভাপতি শক্তিপদ বর্মন বলেন, “সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খুবই ভালো। এতে কিছুটা হলেও সংক্রমণ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে”।
এমনকি রঘুনাথপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা গুড়িয়া সাহু বলেন, “মানুষকে সুরক্ষিত রাখা আমাদের কর্তব্য। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে এখন বাজার বসবে। শুধুমাত্র সকালেই এই বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই কার্যক্রম দেখে যথেষ্ট আপ্লুত হয়েছে সাধারন মানুষ, জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজসেবী সংগঠনও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584