শ্যামল রায়,বর্ধমানঃবিরোধীশূন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলাপরিষদ। ৫৮ টি আসনের মধ্যে সব কটি দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও জানা গিয়েছে যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৯টি আসন ছিল সিপিআইএমের দখলে। এবারের নির্বাচনে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে যে জেলা পরিষদের ৫৮ টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।
নির্বাচন হয়েছিল ৪১ টি আসনে। বৃহস্পতিবার ফলাফল বের হবার সাথে সাথে দেখা গিয়েছে যে ৫৮টি আসনেই বিরোধীরা শুন্য।

অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ছিল৩২৩৪টি আসন। এরমধ্যে নির্বাচন হয়েছে ১১৩৮টি আসনে। বিজেপি পেয়েছে ২৬ টি আসন সিপিআইএম পেয়েছে ১৫ টি আসন কংগ্রেস হয়েছে তিনটি আসন নির্দল প্রার্থী পেয়েছে ৪০টি আসন। আরো জানা গিয়েছে যে জেলায় ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলায় পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা২২২টি আসন। এরমধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২১০ টিতে।
২৩ টি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতীয় জনতা পার্টি একটি নির্দল প্রার্থীরা একটি করে আসন দখল করে নিয়েছে।
জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাপতি দেবু টুডু ফের নির্বাচিত হয়েছেন। ফের নির্বাচিত হয়েছেন বাগবুল ইসনাম। আউসগ্রাম এর রামকৃষ্ণ ঘোষ জয়ী হয়েছে। পূর্বস্থলী ১নম্বর ব্লকের বিদায়ী সভাপতি দিলীপ মল্লিক পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান আজিজুননেশা খাতুন ও জাহান নগরের বিদায়ী প্রধান শুক্লা রাহাপুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এখানে জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হয়েছেন অশোক বিশ্বাস দেবাশীষ নাগ বিপুল দাস প্রমূখ।
বিরোধীশূন্য জেলাপরিষদ পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলো।। এই জয় উন্নয়নের জয় এই জয় মা মাটি মানুষের জয়
রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ এই জয়ের সাফল্য সম্পর্কে জানিয়েছেন যে গ্রামবাংলা আজ মমতার দখলেই হল। ভারতীয় জনতা পার্টি সিপিএম কংগ্রেস সকলেই ধরাশায়ী। কালনা-২ নম্বর ব্লকের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদ আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় জানিয়েছেন যে এই জয় উন্নয়নের জয়। পিনডারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান নীলিমা আকুতি জানিয়েছেন যে আমরা যে উন্নয়ন করেছি গতি বজায় রাখার জন্যই ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। এই জয় মা মাটি মানুষের জয়
উন্নয়নের জয়। আউসগ্রাম-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলী জানিয়েছেন যে বিগত দিনে এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি আমাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন। প্রগেসিভ রুরাল মেডিকেল প্রাকটিশনার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক জয়ন্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জয়লাভ করার জন্য আমরা আমাদের গ্রামীণ চিকিৎসকরা প্রচার অভিযানে সামিল হয়েছিলেন এবং বিরোধীদের কুৎসা অপপ্রচার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে ভোট প্রচারে শামিল হয়ে আজ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই জয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় এই জয় উন্নয়নের জয়। আগামী দিন গ্রামীণ চিকিৎসকরা রাজ্য সরকারের পাশে থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন সেই সাথে আমরা যারা হাজারে-হাজারে গ্রামীণ চিকিৎসক আছি তাদের পাশে সরকারের থাকার এবং সমস্ত রকম চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণসহ গ্রামীণ চিকিৎসক হিসাবে অনুমোদন দেওয়ার দাবী আমরা জানাবো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584