নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
যা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তাই সত্যি হল। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হলেও, প্রশ্নোত্তরের জন্য বরাদ্দ সময় বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, সেখানে সরকারকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন না বিরোধীরা। রাজ্যসভার সচিবালয়ের তরফে এমনই বিবৃতি জারি করা হয়েছে। আর এতেই তীব্র ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।
তবে নির্ঘণ্ট অনুযায়ী জিরো আওয়ার হবে বলে বিরোধীদের আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগে থেকে স্পিকারকে নোটিস দিয়ে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারবেন বিরোধীরা। কিন্তু সেই জিরো আওয়ারের সময়সীমা কমিয়ে ৩০ মিনিট করা হয়েছে। অর্থাৎ বিরোধী নেতাদের ওই ৩০ মিনিটের মধ্যেই যা বলার বলে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পাশে ফেসবুক, জুকারবার্গকে চিঠি তৃণমূলের
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। অতিমারিকে অজুহাত বানিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার টুইটারে ডেরেক লেখেন, “কোনও এমপি যদি প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে ১৫ দিন আগে থেকে সেই প্রশ্ন সংসদে জমা দিতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হয়েছে।”
ডেরেক ওব্রায়েনের অভিযোগ, বিরোধীরা সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার হারাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের পরে এমনটা আর কখনও হয়নি। সংসদের কাজের সময় তো একই আছে। তাহলে কেন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল? সাংসদ মনে করেন, অতিমহামারীকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
আরও পড়ুনঃ জিডিপি নিয়ে আলোচনা দেশের মানুষ, দর্শকদের সময় নষ্ট করা- ভাইরাল ভিডিও
সংসদের অধিবেশনের ৫০ শতাংশ সময় বিরোধীদের জন্য এবং বাকি ৫০ শতাংশ সময় সরকারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকার দেশের সংসদকে ‘এম অ্যান্ড এস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে এর আগে একটি সংবাদমাধ্যমেও লেখেন ডেরেক। ‘এম অ্যান্ড এস প্রাইভেট লিমিটেড’ বলতে তিনি আসলে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিশানা করেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর মন্তব্য করেন, সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকারই সংসদীয় গণতন্ত্রকে অক্সিজেন যোগায়। তিনি বলেন, “আমি চার মাস আগেই বলেছিলাম, স্ট্রংম্যান নেতারা অতিমহামারীকে ব্যবহার করে গণতন্ত্র ও বিক্ষোভকে ধ্বংস করতে চাইবে। এবার বাদল অধিবেশন বসছে দেরিতে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল। আমাদের নিরাপদ রাখার নাম করে এই কাজ করা হয়েছে।”
প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবারই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন প্রবীণ কংগ্রেসের দলনেতা ও সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584