ওয়েবডস্কঃ
এখনও যে ইনিস্টিটিউটের জন্ম হয়নি সেই ইনিসটিটিউশন পেল “Institution of Eminence” অর্থাৎ বিখ্যাত, উন্নত বা বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তকমা।যারা এই তকমা পেয়েছে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা অনুমোদন পেতে চলেছে। ফলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর সোমবার কানাডা থেকে টুইট বার্তায় ছ’টি ‘বিশিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের’ একটি তালিকা প্রকাশ করেন যার মধ্যে তিনটি প্রাইভেট ও তিনটি পাবলিক।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ চিন্তা প্রসূত ‘জিয়ো প্রতিষ্ঠান(Jio Institution)’ তাদের মধ্যে অন্যতম।
একটি প্রতিষ্ঠানের এই তকমা পেতে কয়েক দশক লেগে যায়। কিন্তু জিয়ো ইনস্টিটিউশনের কোন অবস্হান বা স্ট্যাটাস না থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে ‘বিশেষ তকমা’ দেওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এই ‘ইনস্টিটিউশন অফ এক্সেলেন্স’ তালিকায় আছে আইআইটি দিল্লী, আইআইটি বোম্বে, বেঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, মনিপাল অ্যাকাডেমি অফ হাইয়ার এডুকেশন, বিটস(BITS) পিলানি এবং জিয়ো ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জিয়ো ইনস্টিটিউট। যারা এই তকমা পেয়েছে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা অনুমোদন পেতে চলেছে।ফলে, তৈরির আগেই জিও ইনস্টিটিউটকে ১০০০ কোটি অনুমোদনের ছাড়পত্র দেওয়ায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রকাশ জাভড়েকর টুইট করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে টুইটারে তাঁকে ট্যাগ করে অনেকেই জিয়ো ইনস্টিটিউশনের অবস্থান জানতে চান। পরে অনুসন্ধান করে জানা যায় কথিত ইনস্টিটিউটের কোন ক্যাম্পাস বা ওয়েবসাইট নেই। অথচ এনডিএ সরকার ইতিমধ্যে এই ভবিষ্যত প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং শুরু করে দিয়েছে।
মোটামুটি ভাবে ১১৪ টি প্রতিষ্ঠান এই তকমা পাওয়ার জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। স্বশাসিত হওয়া ও বিশেষ ইনসেন্টিভ পাওয়ার মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি হিসেবে উঠে আসাই এই আবেদনের উদ্দেশ্য। এর মধ্যে ছিল ১১টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট, ২৭টি রাজ্য ,১০টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় , কিছু টপ র্যাঙ্কের আইআইটি এবং এনআইটি।
(সংবাদ সূত্র:- দি পায়োনীয়ার)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584