শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাধারণ বন্দিদের সাথে মানসিক ভারসাম্যহীন বন্দিদের রাখার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল সাধারণ বন্দিদের আত্মীয়রা।
যদিও কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে এব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসক নিখিল নির্মলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত নন বলে জানান।
বালুরঘাট সংশোধনাগার পরিষেবার মহানির্দেশক অফিস সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইড লাইন মেনে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আগত নতুন বন্দিদের ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখার নির্দেশ প্রেরণ করা হয়েছে সংশোধনাগার পরিষেবার মহানির্দেশকের অফিসের পক্ষ থেকে।
নির্দেশকে কার্যকর করতে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষও সংশোধনাগারে আগত নতুন বন্দিদেরকে আলাদা আলাদা ঘরে কোয়ারান্টাইন করে রাখার ব্যবস্থা শুরু করে। সূত্র মারফৎ এও খবর শুধু গত ৪-ই মে থেকে গত ১০-ই মে অবধি বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আগত নতুন বন্দির সংখ্যা ৪২।
জানা গেছে সরকারি নির্দেশ পালনে খামতি না রেখে আগত নতুন বন্দিদের কোয়ারান্টাইনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ঘরের সংখ্যা কম থাকায় বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সংশোধনাগারের একাধিক ওয়ার্ড ফাঁকা করে আগত নতুন বন্দিদের কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে রোজগার হারিয়ে আত্মঘাতী রিক্সা চালক
অপরদিকে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিদের পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রেরিত নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষ মানসিক ভারসাম্যহীন বন্দিদের ওয়ার্ড খালি করে সেই ওয়ার্ডে নতুন বন্দিদের কোয়ারান্টাইন করে রেখেছে।
অপরদিকে পর্যাপ্ত ঘরের অভাবে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মানসিক ভারসাম্যহীন ওয়ার্ডে থাকা ১৩ জন মানসিক ভারসাম্যহীন বন্দিদের বর্তমানে রাখা হয়েছে সাধারণ বন্দিদের সাথেই বলে ওই সাধারণ বন্দিদের পরিবারের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ।
তাদের দাবি অবিলম্বে জেলের ভেতরে থাকা তাদের পরিবার পরিজনদের মানষিক ভারসাম্যহীন বন্দিদের সাথে না রেখে আলাদা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে জায়গা যখন রয়েছে তখন অন্য ঘর তৈরি করে সেখানে মানসিক ভারসাম্যহীন বন্দিদের সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জেল সূত্র মারফত জানা গেছে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দি সংখ্যা ৫৪৭। যাদের মধ্যে রয়েছে ৫০৪ জন পুরুষ, ৪৩ জন মহিলা বন্দি এবং ১০ জন শিশুও।
যদিও এই বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে এদিন বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলে বলেন মুম্বাই অর্থার রোড জেল-এ কোভিড-১৯ সংক্রমণের মত যদি এখানে ঘরের অভাবে বন্দিদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের মত কোন ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায় কে নেবে?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584