নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
বেশ কিছুদিন ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। এরপর উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখার টানে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে।
যার প্রভাবে ফের উত্তরবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা জারি থাকছে। সেখানে জুলাইয়ের প্রথমার্ধে স্বাভাবিকের থেকে ৪৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, একেবারে উল্টো চিত্র ধরা পড়ল দক্ষিণবঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিক ২০২০ সালের ফলাফল, পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ
দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় জুলাই মাসের প্রথম ১৪ দিনে বৃষ্টির ঘাটতি থাকায় কৃষি দফতর কিছুটা চিন্তিত। কারণ, আমন ধানের জন্য জুলাই মাসের বৃষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটা ভালো দিকও আছে। যে সব জেলা আমন ধানের চক ষে নজর কাড়ে, অর্থাৎ দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি বৃষ্টি হয়েছে। নদীয়া ও মুর্শিদাবাদেও ভালো বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে করোনা প্রতিরোধে আরো বেশি কড়াকড়ি পুলিশের
কৃষি দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে এমাসে বৃষ্টির ঘাটতি আছে। জুলাই মাসের প্রথম ১৪ দিনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় স্বাভাবিকের থেকে যথাক্রমে ২৭ এবং ৫৫ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। এই সময়ে হাওড়ায় ৩৪ শতাংশ, হুগলিতে ২৭ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৯ শতাংশ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৬ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। দুই মেদিনীপুরে জুন মাস থেকেই বৃষ্টির ঘাটতি চলছে।
তবে দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও পুরুলিয়া জেলায় জুন মাসে স্বাভাবিকের থেকে ১০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মোটের উপর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ১১ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে চাষ শুরু করতে হবে। তা করতে না পারলে তখন বিকল্প চাষ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584