প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ
ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার একাধিক শ্রমিক। এদের মধ্যে অধিকাংশ ইসলামপুর মহকুমার গোয়ালপোখর এবং ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা এক, আগডিমটি খুন্তি,গাইসাল এক এবং রামগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা।
তারা এখন মুম্বাইয়ের একটি জায়গাতেই রয়েছেন। তবে জায়গার সংকট থাকায় করোনা ভাইরাস এর জেরে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এক সাথে খুব কাছাকাছি অস্বাস্থ্যকর ভাবে তাদের থাকতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ইতিমধ্যেই তাদের দেখা দিয়েছে খাবারের সংকটও।তাদের সমস্যার কথা একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই জেলার মানুষদের কাছে তারা পৌঁছে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে আশ্রয় করে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনকে কার্যত বুড়ো আঙুল, মেচেদায় অবাধে চলছে মদ্যপানের আসর
তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক মুস্তাক শেখ। যারা এখন মুম্বাই সেন্টারের দুধওয়ালা বিল্ডিংয়ে রয়েছেন। তিনি জানান, “শ্রমিকের কাজ করতে এসে আচমকা এই শাটডাউনের জেরে তারা আটকে পড়েছেন মুম্বাইতে। কোন ভাবেই বাড়িতে ফেরার রাস্তা নেই। সব কিছুই বন্ধ। একটা চরম সংকটের মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে”।
বাড়ির সদস্যরা কেমন আছে তা ভেবেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন তারা। পাশাপাশি তাদের কিছু খাবারের প্রয়োজন ।আদৌ কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তা জানা নেই কারও।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের জেরে বন্ধ বাজার, কোন মতে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের
এভাবেও থেকে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় চরম ভাবে উদ্বিগ্ন। তবে দূর থেকে ওই শ্রমিকদের যাতে কিছু ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন এর উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি গৌতম বর্মন এবং যুগ্ম সম্পাদক তাপস দাসরা।
তারা জানান, “ইতিমধ্যেই তারা তাদের সংগঠনের মুম্বাই এর রাজ্য সম্পাদক প্রীতি শেখরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সার্বিক সহায়তা পৌঁছে দেবার জন্য। এমনকি প্রয়োজনে এখান থেকে অন্য কোন ভাবেও যদি কেউ ত্রাণ পাঠাতে পারে তবে তাও গৃহীত হবে ওই শ্রমিকদের জন্যই”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584