শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে ভোটের দিন তারপর ভোট গণনার দিনেও ব্যাপক সন্ত্রাস করেছে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টের পথে আটকে দেয়া হয়েছে কেউ কেউ লুকিয়ে চুরিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আসলেও তাদের কেউ মারধোর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ঘটনা কেন্দ্র থেকে। তাই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উঠেছে নানান ধরনের প্রশ্ন।
যদিও যেখানে আড্ডাটি লড়াই হয়েছে সেখানে জয়লাভ করেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের দখলে থাকা বহু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে সিপিএমের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে শাসকদলের বহু প্রার্থী পরাজিত হত এমনটাই উঠে এসেছে যেখানে যেখানে ভোট হয়েছে।
সকাল থেকেই নদীয়া জেলার বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একের পর এক সন্ত্রাসের অভিযোগে ভোট গণনা বন্ধু ছিল এমনকি নদিয়া জেলা শাসকের কাছে ও বিরোধীরা গণঅবস্থান পর্যন্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।
নদীয়া জেলার মাজদিয়া স্কুলে বিরোধীদের বের করে দেওয়া মারধোর বোমাবাজি গুলি প্রভৃতির সন্ত্রাসের ফলে সাময়ীকভাবে ভোট গণনা বন্ধু ছিল।নদিয়ার হাঁসখালির ও বিরোধী এজেন্টের ভয় দেখিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
ফুলিয়া তে ও গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একই রকম অবস্থা নদীয়া শান্তিপুর রানাঘাট চাকদা তেহটটো করিমপুর নাকাশিপাড়া প্রভৃতি স্থানে বিরোধীদের কোন রকম ভাবেই দাওনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাই এই পঞ্চায়েত ভোট প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের।
এখানে উল্লেখ থাকে যে নবদ্দীপ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত আরতি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে আটটি তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দখলে থাকলেও এবারের নির্বাচনে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত সমিতি গড়ার পথে তৃণমূল কংগ্রেস।
নবদ্দীপ শহর সংলগ্ন বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল সিপিআইএমের দখলে এবছর তৃণমূল দখল করে নিল। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ছিল আটটি। এবছর পাঁচটি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা তিনটি আসন পেয়েছে সিপিএম এর প্রার্থীরা। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে থাকলেও তারা খাতা করতে পারল না বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মায়াপুর বানপুকুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের থাকলে এবছর ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। মোট আসন সংখ্যা ১২টি। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে আটটি আসন ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে তিনটি আসন নির্দল প্রার্থী পেয়েছে একটি আসন। মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে এবছর সিপিএম একটি আসনও পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস নটি আসোনি দখল করে নিয়েছে। স্বরুপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২২ টি আসন। এরমধ্যে 13 টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা তিনটি আসন সিপিআইএম তিনটি আসন বিজেপি তিনটি আসন নির্দল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে।
এছাড়াও অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের লক্ষ্ পঞ্চায়েতের দখলে নিল বিজেপি।
এক কথায় বলা যেতে পারে যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে শাসকদলের বহু প্রার্থী ধরাশায়ী হতে কথা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন। ভোটের নামে প্রহসনে পরিণত হয়েছে এবারকার পঞ্চায়েত নির্বাচন।
ভোটের দিন এই জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৩ তৃণমূল কর্মীর। আহত হয়েছেন একাধিক।
এ দিনকার বহু ভোট গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ বিরুদ্ধে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত গুপ্ত বিজেপির জেলা সম্পাদক মহাদেব সরকার প্রমুখ অভিযোগ যে বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কাছে বিরোধীরা প্রাণের ভয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি কিন্তু সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে বিরোধীরা জয়লাভ করতো তিনি নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে সমস্ত মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা। তানাহলে তাদের তিন জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছে এই কাজটি পরিকল্পনামাফিক করেছে বিরোধীরা এছাড়াও সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে বিরোধীরা সন্ত্রাসের যে অভিযোগ তুলেছেন এটা ভিত্তিহীন। উন্নয়নের কাছে বিরোধীরা ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। রাজাকার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584