তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
‘আনারসী শাড়ি’ এ আবার কেমন কথা!শুনলে প্রথমে অবাক হবারই কথা।কিন্তু একদম অবাক হবার কিছুই নাই।বেনারসি শাড়ি পরিবর্তে সরকার ইচ্ছা করলেই বঙ্গ ললনার গায়ে চড়িয়ে দিতে পারে আনারসী শাড়ি।অনেকেই জানেন না বা জানার কথাও নয় আনারসের যে পাতা গুলি আমরা ফেলে দিয়ে থাকি তা থেকে অতি সহজেই সেই পাতা থেকে সুতো তৈরি করা যায়।
আর তা দিয়ে আনারসী শাড়ি তৈরী করা যায়।যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে তবে এ কাজ করা যেতে পারে।জানা যায় সরকারি নয় বে-সরকারি উদ্যোগে এ কাজ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের আনারস উৎপাদনের পীঠস্থান বিধান নগরে।
জানা যায় এই খবরের রেশে বিধান নগর এলাকায় আনারস চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।এতদিন যে আনারসের পাতা গো-খাদ্য বা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হত সেই পাতা আর এখন বহু মূল্যবান সামগ্রী হতে চলেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে জানা যায়।এলাকার আনারস চাষিদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইচ্ছা করলে এই এলাকার বেকার সমস্যা সমাধানে অনেক আগেই বিধাননগরে একটি আনারসী শাড়ির কারখানা স্থাপন করা যেত।
কিন্তু সরকারের এ ব্যাপারে এখনো কোন হেলদোল নেই।বরং বিধান নগরে কাঞ্চন নামে একটি কারখানা চলছিল রাজ্য সরকারের দূরদৃষ্টির অভাবে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।জানা যায় শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর এলাকায় একটি বেসরকারি উদ্যোগে এলাকার আনারস উৎপাদনকারী চাষিদের পরিবারের মহিলাদের আনারসের পাতা থেকে কি ভাবে পাতা তৈরী করা যায় তার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গ্রামের আনারস চাষিদের অভিযোগ,রাজ্য সরকার বেকার সমস্যা সমাধানের কথা যদি চিন্তা করতো তাহলে অনেক আগেই আনারসের পাতা থেকে শাড়ি করবার চিন্তা ভাবনা অনায়াসে করতে পারতো।বর্তমানে রাজ্য সরকার বিধাননগর এলাকাকে পাইন আপল জোন করা হলেও পাইন আপলের জোন যে কারনে করা হয়েছে তার কিছুই করা হয়নি এযাবৎ পর্যন্ত।
বিধান নগর এলাকার গ্রামাঞ্চলের যে পরিমান শ্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আনারসের পাতা থেকে সুতা তৈরী করার কাজ শিখে আছে তাতে করে শিল্পবিহীন উত্তরবঙ্গে আনারসী শাড়ীর উন্নতমানের কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব।এই আনারস পাতা থেকে সুতা তৈরীর কারখানা হবার কথা শুনে ঐ এলাকার আনারস চাষিরা আশায় বুক বেঁধে আছে।
আনারস চাষিদের বছরের পর বছর আনারসের ব্যবসা থেকে ক্ষতি হত এই ধরনের কৃষি-ভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠলে আনারস চাষিরা যেমন আনারস চাষ করে ভীষন ভাবে উপকৃত হতে পারে তেমনি অনারসী শাড়ীর কারখানা স্থাপিত হলে ঐ এলাকার অনেক দক্ষ ও অদক্ষ বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিধাননগরের অধিকাংশ আনারস চাষীদের দাবি।
জানা যায় বিধানননগরে একটি আনারস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সংস্থা চালু হয়েছে।এই সংস্থারভঁ উদ্যোগে ব্যাঙ্গালোর থেকে আনারস পাতা থেকে সুতা তৈরীর প্রশিক্ষক এনে বিধান নগরে আনারসের পাতার সুতা থেকে অনারসী শাড়িও তৈরী করা সম্ভব।
রাজ্য সরকার শিল্প স্থাপনের জন্য ব্যাপক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছেনা তখন উত্তরবঙ্গের বিধাননগরে কৃষি ভিত্তিক আনারসের পাতার সুতা থেকে তৈরী আনারসী শাড়ী তৈরীর কারখানা স্থাপন করে দেখাক রাজ্য সরকার যে সত্যি সত্যিই এই রাজ্যে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584