মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
থমথমে শীতলখুচিতে চলছে পুলিশি টহল। বাজার ঘাট বন্ধ, রাস্তায় লোকজন নেই। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।গতকাল তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলখুচি। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মনের ছেলে জনক বর্মণ গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও দুই পক্ষের কর্মী সমর্থক আহত হন।
বাড়িঘর,দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়।আজও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে।
উত্তেজনা প্রবন এলাকা গুলোতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।সংঘর্ষে উত্তপ্ত শীতলখুচির রথেরডাঙ্গা, ফক্করেরহাট, বাঘমারা সহ বেশ কিছু এলাকায় এখনও ভাঙচুর লুটপাটের চিহ্ন পড়ে রয়েছে। রথেরডাঙ্গায় ৩০, বাঘমারায় ২০ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ শীতলখুচিতে বিজেপির অবরোধ শেষে বিক্ষিপ্ত হামলা,আহত ৬
এছাড়াও দুই পক্ষের বহু কর্মী সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।দুই পক্ষই দাবি করেছে তাঁদের বহু সমর্থক বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন। শীতলখুচি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তপন কুমার গুহ বলেন, “আমরা অশান্তি চাই না।এতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।পুলিশ প্রশাসন এলাকা শান্ত রাখতে সহযোগিতা চেয়েছে।আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আজ সকাল থেকে শীতলখুচির গতকালের ঘটনার ছবি গুলো আসছিল।আমাদের সেখানকার কর্মীরা পাঠাচ্ছিলেন।দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে।আমরা কোচবিহারে বেশীর ভাগ আসনে জয়ী হয়েছিলাম।কই এমন তো হয় নি!এরা ক্ষমতায় না আসতেই যা ঘটছে, এটা বাংলায় মেনে নেওয়া যায় না।”
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মণ জানিয়েছেন,তাঁর ছেলে জনক বর্মণের আজ অস্ত্রপচার করে গুলি বের করা হয়েছে।এখন সুস্থ রয়েছেন। হেমবাবু বলেন, “আমাদের বহু লোক বাড়ি ছাড়া রয়েছে।অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে।তৃণমূলের মদতে যা হল,তা মেনে নেওয়া যায় না।মানুষ তো ওদের মন থেকে সরিয়ে দিয়েছে।এবার ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584