মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
’সিএএ-এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না’, অসম সফরে গিয়ে সাফ একথা জানালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আরও একবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিলেন তিনি। এদিন অসমের গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি সাফ জানালেন, নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে একাংশ সিএএ এবং এনআরসির উপর রাজনৈতিক রঙ লাগাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমের মধ্য ভেদাভেদ করার চেষ্টা করছে। সিএএ-এনআরসি নিয়ে ভারতের মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।সিএএ-এনআরসি নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। অসমের গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানে এমন আশ্বাসই দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
অসমে দ্বিতীয়বার বিজেপি সরকার গঠনের পর এই প্রথম ২ দিনের জন্য অসম সফরে গিয়েছেন আরএসএস প্রধান। সেখানকার একটি অনুষ্ঠানে সিএএ-এনআরসি নিয়ে একটি বইয়ের উদ্বোধন করে মোহন ভাগবত বলেন, “সিএএ-এনআরসি কোনও ভারতীয় নাগরিকেরই বিরুদ্ধে নয়। ভারতের মুসলিম নাগরিকদের সিএএ থেকে কোনও সমস্যাই হবেন না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে এই দুই বিষয়কে হিন্দু-মুসলিমের বিষয় করে তোলা হয়েছে। এটা আসলে হিন্দু-মুসলিমের বিষয়ই নয়।”
আরও পড়ুনঃ করোনায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশিকা তৈরিতে আরও ৪ সপ্তাহ সময় চাইল কেন্দ্র
এনআরসি নেয় পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করেও নানা কথা বলেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘দেশভাগ সাধারণ মানুষ বা বিপ্লবীদের ইচ্ছায় হয়নি। দেশভাগ হয়েছিল কিছু রাজনীতিকের ব্যক্তিগত ইচ্ছায়। তবে দেশভাগের পরে ভারত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে ভোলেনি। কিন্তু পাকিস্তানের চিত্রটা আলাদা হয়ে যায়। সে দেশে হিন্দু, শিখ ও জৈনদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে।’
২০১৯ সালেই অসমে এনআরসি করা হয়। তবে তালিকায় গড়মিল থাকায় লক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারী মুসলিমের নাম বাদ পড়ে এবং বহু হিন্দুদের নাম সেই তালিকায় ঢুকে যায়। এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল নতুন করে ফের এনআরসি করা।
আরও পড়ুনঃ কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে কোনো মৃত্যুর তথ্য নেই, নেই ক্ষতিপূরণের প্রশ্নওঃ কৃষিমন্ত্রী তোমর
এ প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘দেশভাগের পরেও আমরা সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করেছি। কিন্তু পাকিস্তানের তা করেনি। উপরন্তু সে দেশের সাধারণ মানুষের উপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে গেছে পাকিস্তান। এনআরসি-সিএএ নিয়ে কোনও ভারতীয় নাগরিকের সমস্যা হবে না। এনআরসি চালু হলে কোনও ক্ষতি হবে না মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের। তবে কিছু মানুষ শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য সিএএ-এনআরসি-কে হিন্দু-মুসলিমের বিষয় করে তুলেছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584