মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
শিক্ষিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত দিনহাটার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নূর আলম হোসেনকে শোকজ করল তৃণমূল। উত্তর দিতে তাকে ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই শোকজের কথা জানান। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যকারী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ও।
আরও পড়ুনঃ স্থানীয় নয়, করোনা আক্রান্তরা এসেছেন কলকাতা থেকে, জানালেন জেলাশাসক
বিনয় বাবু বলেন, “দলের সিতাই বিধানসভার ওয়ার্কিং কমিটির কনভেনার নূর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের কথা জানার পর সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার সাথে আমার কথা হয়। তারপরেই তাকে শোকজ করা হয়। কেন তাকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে বহিষ্কারের পথে হাঁটবে দল।’
উল্লেখ্য, দিনহাটার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নূর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে টানা ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক শিক্ষিকা। ৩ মে রাতে ওই ঘটনা নিয়ে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই দিনহাটা হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ঘাসফুল শিবিরে।
আরও পড়ুনঃ মহানন্দা ব্যারেজে লকডাউন না মেনে মাছ ধরতে ভিড়
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই তৃণমূল নেতা ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে গেছেন। ওই মহিলা অভিযোগ করে বলেন, তিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে। এক সময় নূর আলম হোসেন ও তার পরিবারের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরেই তাকে কু প্রস্তাব দিতে থাকে ওই তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে সে তাকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
এরপর গত বছর ২৬ অক্টোবর তাঁকে বাড়িতে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে ওই তৃণমূল নেতা। আর ধর্ষণের সময় ছবি তুলে রেখে প্রতিদিন তাকে ব্ল্যাকমেল করে টানা ধর্ষণ করা হত বলে অভিযোগ। চলে প্রানে মারার হুমকিও। শেষ পর্যন্ত ভয়কে উপেক্ষা করে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584