শিবশংকর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা মহন্তের স্বামী কানাই মহন্তের ছোট্ট একটি পানের দোকানের আয় থেকেই নির্বাহিত হত সংসার।কিন্তু বছর খানেক আগে কানাই বাবু মারা যাওয়ার পর তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে প্রতিমা দেবী চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েন। সেই সময় তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে তারই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে সুস্মিতা মহন্ত।পড়াশোনায় তুখোড় এই পরীক্ষার্থী তার পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশি তার মায়ের সাথে পানের দোকানও করতে শুরু করে।সে দিনে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা পানের দোকান কাজ করে বলে সুস্মিতা জানায়।এই সুস্মিতাই পানের দোকান করার পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয় । তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৮ শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ৯৩. ৬%।
কলা বিভাগের ছাত্রী সুস্মিতার সকল বিষয়ে গৃহশিক্ষক থাকলেও তাদের আর্থিক দিকটি মাথায় রেখে কোন গৃহশিক্ষকই তার কাছে পয়সা নিত না বলে সুস্মিতা জানিয়েছে।সুস্মিতা বড় হয়ে নার্স হতে চায়।
সুস্মিতার মা প্রতিমা দেবী চান মেয়ে শিক্ষিকা হোক।কিন্তু হত দরিদ্র এই মেয়েটিকে অকাল পিতৃবিয়োগ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।সুস্মিতা নার্স হয়ে তার মায়ের পাশে দাঁড়াতে চায়।কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তার সবচেয়ে বড় সমস্যা।এমতাবস্থায় সুস্মিতা ও তার মা চান যদি সরকার বা কোন সহৃদয় ব্যাক্ত যদি তাদের পাশে এসে দাঁড়াতো তাহলে সুস্মিতা পেতে পারে এক সোনালী ভবিষ্যত।
আরও পড়ুনঃ আর্থিক প্রতিবন্ধকতায় আটকে যাচ্ছে বিপাশার আইএএস হওয়ার স্বপ্ন
সুস্মিতার মা প্রতিমা জানান, তিনি ব্যাক্তিগতভাবে চান তার মেয়ে শিক্ষিকা হোক।কিন্তু মেয়ে নার্স হতে চায় তাই তিনি তার মেয়ের ইচ্ছেকে মর্যদা জানিয়ে মেয়ের পাশে থাকতে চান।কিন্তু তার আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে প্রতিমা দেবীও চিন্তিত তার মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে। তাই তিনিও সকলের সাহায্য প্রার্থনা করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584