সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বর্ধমানের রাজার কাছ থেকে বাহান্ন বিঘা জমি ইজারা পেয়েছিলেন অমরারগড়ের চ্যাটার্জী পরিবার।ঐতিহ্যবাহী পুজোয় তারপর থেকে দেবীকে দেওয়া হতে থাকল বাহান্ন ভোগ। পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের সদস্য পঙ্কজ চ্যাটার্জী, মানস চ্যাটার্জীরা বলেন জানান,১২০০ সালে মানকরের পঞ্চমৌলি গ্রাম সন্নিকট থেকে শুরু করে বাহান্না বিঘা জমি ইজারা পান এই পরিবার বর্ধমান রাজার কাছ থেকে।কালী পুজো চলছিল তারও আগে থেকে।পরিবারের প্রথম পুরুষ কৃষ্ণদাস চট্টোপাধ্যায় এই পুজোর শুরু করেন।পরবর্তীতে চন্দ্রশেখর বা রামভদ্র চট্টোপাধ্যায়রা এই পুজোর তদারকি করতেন কিন্তু ইজারাদারি পাবার পর থেকে বাহান্ন ভোগ ও বারো সের চালের ভোগ দেওয়া হয়।বাহান্ন ভোগ অর্থাৎ দেবীকে বাহান্ন প্রকারের ভোগ দেওয়া হয়।
ঐতিহ্যবাহী রীতি আজও চলছে। পরিবারের সদস্য শক্তিনারায়ন চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই পরিবারের সাথে বর্ধমানের রাজাদের সুসম্পর্ক ছিল।একবার কাছারিতে এই পরিবারের নীলাম্বর চট্টোপাধ্যায় হাজির হলে বর্ধমান রাজ খুশি হয়ে তাঁকে উপহার দিতে চাইলে নীলাম্বরবাবু বলেছিলেন এক চুঁইয়ে যতটুকু জমি হবে তাই নেবেন।রাজা খুশি হয়ে বাহান্ন বিঘা জমি নিষ্কর ব্রহ্মসত্ব হিসাবে লিখে দেন।পরিবারের অন্য সদস্যারা বলেন,নীলাম্বর ছিলেন নিঃসন্তান।এক সাধু তাঁকে কালীপুজো করার কথা বলেন। উত্তরে তিনি জানান তাঁর বাড়িতে কালীপুজো হয়। এরপর স্বপ্নে তিনি দেবী পুজোর ও আয়োজনের নির্দেশ পান।কিছুদিন পরেই পান ইজারাদারি। তারপর থেকে এই পুজোয় রীতিগত কিছু পরিবর্তন হয় সে ধারাটি আজও চলে আসছে। পঙ্কজ চ্যাটার্জী বলেন, অতীতের রীতিমেনেই আজও পুজোর আয়োজন করা হয়। তা সে বাহান্ন ভোগই হোক অথবা বলিপ্রথা।
আরও পড়ুনঃ কালী পুজো উপলক্ষে শীতবস্ত্র দান ও চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584