প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশ ‘ঐক্য বাংলার’

0
178

তন্ময় মণ্ডল, কলকাতাঃ

জাতীয়তাবাদের প্রয়োজন বাঙালি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছে। হিন্দি আগ্রাসনের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য বাঙালিকে তাই উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে এসেছে ঐক্য বাংলা। এটি একটি অদলীয় রাজনৈতিক সংগঠন।

Press club | newsfront.co
প্রেস ক্লাবে ঐক্য বাংলার আত্মপ্রকাশ। নিজস্ব চিত্র

বুধবার বিকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ঐক্য বাংলার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। উপস্থিত ছিলেন দলের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ সম্পাদিকা সুলগ্না দাশগুপ্ত, সহযোদ্ধা দেবায়ন সিংহ, অভিজ্ঞান সাহা, আশীষ ভট্টাচার্য, সোমনাথ সরকার, চন্দন দাস, মোনালিসা মিত্র-সহ আরও অনেকে।

Sulagna Dasgupta | newsfront.co
বক্তা সুলগ্না দাশগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লেখক অনির্বাণ মুখার্জি,  সংগীত শিল্পী অমিত রায়, কৌতুক অভিনেতা ও মানবাধিকার কর্মী, সিপিডিআর সংস্থার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, চিত্র পরিচালক অরূপ ভঞ্জ প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ দুই বাংলার মেলবন্ধন ঘটাতে ৫০০ কিমি সাইকেল যাত্রার সূচনা

উদ্বোধনী বক্তব্যেই সুলগ্না দাশগুপ্ত উল্লেখ করেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। তাঁর কথায় উঠে আসে বাংলার বর্তমান কর্ম সংকট, ভাষা আগ্রাসনের সমস্যা প্রভৃতি।

তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের খোঁজে শহরে আসার হার, ভিন রাজ্যের মানুষের কলকাতায় আসার হারের থেকে অনেক কম।

আজ শহর থেকে গ্রাম, কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে কাকদ্বীপ, কৃষক থেকে উচ্চশিক্ষিত কর্পোরেট কর্মী —সমস্ত বাঙালি পিতা-মাতাই চান তার পরবর্তী প্রজন্ম বাংলার বাইরে কাজ খুঁজে নিক।”

তিনি আরও তুলে ধরেন, হিন্দি ভাষার কাছে বাঙালির প্রতিনিয়ত অপমানের বাস্তব চিত্র। “বাংলার মাটিতে আজ হিন্দি না জানায় টোন-টিটকিরি শুনতে হয়, অপমান সহ্য করতে হয় বাঙালিকে।”— তিনি জানান। বাঙালির অর্থনৈতিক ক্রম-পশ্চাৎ অপসারণই বাঙালির আত্মবিশ্বাসের অবক্ষয়ের মূলে বলে মনে করেন তিনি।

জনমুখী মুক্তপন্থার রাস্তায়, পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্রদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জাতির সার্বিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। সংগঠনের ভিত্তি
পত্র পাঠ করে শোনান সহযোদ্ধা দেবায়ন সিংহ।

পরবর্তী পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন সভায় উপস্থিত অন্যান্য গুণীজনেরা। লেখক অনির্বাণ মুখার্জি জানান, কলকাতায় যখন কান পাতলেই বাংলার বদলে হিন্দি শোনা যায়, তখন এটা দিল্লি নাকি বাংলা সে সন্দেহ দানা বাঁধে।

পাশাপাশি বাঙালির আপসপন্থী মনোভাব নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন অমিত রায়। একই বক্তব্য বিপ্লব ঘোষেরও। তিনি জানান, বাঙালির স্বার্থে লড়া ঐক্য বাংলার পাশে তাঁর সংগঠন সিপিডিআর থাকবে।

অপরদিকে অরুপবাবু বলেন, বড় দাদা যেমন সবকিছুকে মেনে নিয়েও কটূক্তি শোনে, তেমনই বাঙালিও নিজের মাটিতে সব জাতি, ভাষার আধিপত্য মেনে নিয়েও চুপ। কিন্তু এই পন্থায় বাঙালির অধিকার রক্ষা করা সম্ভব না। তাই এরকমটা যে আর চলবে না, তা পরিষ্কার জানিয়ে দেন অরূপ বাবু।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here