শ্যামল রায়,কালনাঃ
পাওনা টাকা আদায় করতে এসে বাড়ির কর্তাদের প্রচন্ড ভাবে মারধর কিল ঘুষি মারায় মৃত্যু হল বাড়ির গৃহকর্তার।মৃত ব্যক্তির নাম সুলুক শেখ।ঘটনাটি ঘটেছে কালনা থানার কালিনগর গ্রামে।শুক্রবার কালনা থানায় মৃত্যুর ঘটনার কথা লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের ছেলে নাজির শেখ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
কালনা থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে ধরতে সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী মৃত ব্যক্তির ছেলে নাজির শেখ থানায় অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন যে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে কালিনগর গ্রাম সংলগ্ন কল ডাঙ্গার বাসিন্দা আলমগীর প্রধানের সাথে তার ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ছিল।ব্যবসায় লেনদেন থাকার ফলে তিনি আলমগীরের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন।পাওনা টাকা ইতিমধ্যে আলমগীরের মা জমিলা বিবির কাছে পরিশোধ করে দিয়েছেন বলে দাবি নাজির শেখ এর।অথচ জমিলা বিবির ছেলে আলমগীর প্রধানের দাবি যে নাজির শেখ এর কাছে আরো অনেক টাকা পাবে।তাই আরো বেশি টাকা পাবে বলে আদায় করতে বৃহস্পতিবার নাজির শেখ এর বাড়িতে যায় আলমগীর এবং তার মা জমিলা বিবি।এই নিয়ে বাক-বিতন্ডা চরমে ওঠে এবং আলমগীর এবং জমিলা বিবির মিলে নাজির শেখকে ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে ।হাতাহাতি তারপর ব্যাপক মারধর শুরু করায় নাজির শেখ কে বাঁচাতে বাড়ির বৃদ্ধ বাবা সুলুক শেখ এগিয়ে আসে এবং তার পরিবারের সকলে এগিয়ে আসে।বৃদ্ধ বাবা সুলুক শেখ ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে মারাত্মকভাবে মার খান। অভিযোগ আলমগীরের কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড় মারধোর খাওয়ায় ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান সুলুক শেখ।তারপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আলমগীর প্রধান এবং তার মা জমিলা বিবি।
অসুস্থ বৃদ্ধকে দ্রুত কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়।শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় সুলুক শেখের।বাবা সুলুক সেখ এর মৃত্যুর ঘটনা কালনা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ছেলে নাজির শেখ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ কুকুর নিধনের ঘটনার পক্ষে চিকিৎসকের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584