গোবিন্দপুরের দুর্গোৎসবে মেতে ওঠে এপার ওপার দুই বাংলা

0
150

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

শুধুমাত্র ভারতের বাসিন্দাদের কাছে নয়, বাংলাদেশের বাসিন্দাদের কাছেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের গোবিন্দপুরের দুর্গোৎসব অন্যতম মিলনক্ষেত্র।হিলি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ভেতরে ভারতীয় ভূখন্ডে রয়েছে গোবিন্দপুর গ্রাম।বিগত ৬৫ বছর ধরে এই গোবিন্দপুর গ্রামের টিনের চালাঘর মন্দিরে পূজিত হচ্ছে দেবী দুর্গা।মন্দির চত্বর থেকে দুই পা এগোলেই বাংলাদেশ।দুর্গা মন্দিরের পিছনেই রয়েছে ভারত বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ করা জিরো পয়েন্টের স্তম্ভ।পঁয়তাল্লিশটি পরিবারের বাস গোবিন্দপুর এই গ্রামের একমাত্র দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে শুধু যে ভারতীয় ভূখন্ডের নাগরিকরাই যে আনন্দে মেতে উঠে তা নয়, গ্রামের দুর্গা মন্দির লাগোয়া বাংলাদেশের মানুষরাও শারদোৎসবের দিনগুলিতে পূজার আনন্দে সামিল হয়। এমনকি ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে পড়শি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরাও মেতে উঠেন গোবিন্দপুরের শারদোৎসবে। গোবিন্দপুর লাগোয়া বাংলাদেশের ভূখন্ডের বাসিন্দা মহম্মদ রিপোন হোসেন বলেন আমারাও এই পূজার আনন্দে সামিল হই এবং তিনি এও জানান যে পূজা দর্শনের জন্য বি.জি.বি বা বি.ডি.আর-দের কাছ থেকে অনুমতি মেলে।

পূজা প্রাঙ্গনে পুজোর আয়োজন।নিজস্ব চিত্র

দুর্গা পূজা উপলক্ষে মেলা বসে দুর্গাপূজার দিনগুলিতে। মেলাতে গোবিন্দপুর লাগোয়া ভারতের নর্থ আগ্রা, মন্ডল পাড়া, বল পাড়া, চকুরপাড়া ছাড়াও বাংলাদেশের দক্ষিণ দামোদরপুর, রামচন্দ্রপুর, কাটলা বাজার, বিরামপুর এলাকা থেকে মানুষরা গোবিন্দপুরের দুর্গা পূজা দেখতে ভীড় জমান।গ্রামবাসীরা যাতে প্রতিমা দর্শন করতে পারে সেই কারনে পূজার দিনগুলিতে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত সীমান্তের গেট খোলা থাকে। বাংলাদেশ থেকে আসা পদ্মফুলে পূজিত হয় গোবিন্দপুরের দেবী দুর্গা।ভারতের বি.এস.এফ জওয়ানদের অহরহ আনাগোনায় মন্দির চত্বর থাকে সর্বদা নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া। আগে টিনের চালাঘরের এই মন্দির চত্বরেই চলত প্রতিমা নির্মাণের কাজ কিন্তু কারিগরদের দাবী মেনে মৃৎশিল্পীদের কারখানায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ।সেই সঙ্গে মন্দির চত্বরে জোড়কদমে চলছে মন্ডপ সজ্জার কাজ। ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ইতিমধ্যেই মেতে উঠতে আরম্ভ করেছে পূজার আনন্দে।গোবিন্দপুর দুর্গাপূজা কমিটির সম্পাদক নৃপেন্দ্র মন্ডল বলেন আমরা ভারতীয় ভূ-খন্ডের এমন একটা জায়গায় বসবাস করছি যে কাটাতারের ভিতরে এখানে পূজা না হলে গ্রামের লোকদের কাছে পূজা বলে কোন জিনিসই থাকবে না। এর পাশাপাশি এদিন নৃপেন্দ্র মন্ডলের কথাতেও উঠে এসেছে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মানুষের মিলন ঐতিহ্যের কথা।

আরও পড়ুনঃ চতুর্ভুজা দেবী দুর্গা পূজিত হন উৎমাই চণ্ডী দুর্গা রূপে কাকড়াশিঙে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here