পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
রেলে চাকরি দেবার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হন বিজেপি নেতা সুমিত রঞ্জন মন্ডল শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে আদালতে তুললে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
যদিও বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল অভিযোগ করেন গত জুলাই মাসে একজন অভিযোগ করেন তার কাছ থেকে কিছু টাকা এক ব্যক্তি নিয়েছেন চাকরি দেবে বলে।
কিন্তু সেই ব্যক্তি টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল প্রতারণার সেখানে সুমিতের নাম ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস কে খুশি করতে মিথ্যে করে তাদের কর্মীকে এই মামলার সাথে যুক্ত করে চক্রান্তের দ্বারা পাচ্ছে বীরভূম জেলা পুলিশ এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কে পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন রয়েছে।
তাতে এই চক্রের আরো অভিযুক্তদের ধরা পুলিশের পক্ষে সহজ হবে কিন্তু সরকারি আইনজীবীর তীব্র বিরোধিতা করে অভিযুক্তের আইনজীবী নির্মল মণ্ডল বলেন পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব কে খুশি করার জন্য দিনের পর দিন চক্রান্ত করে একের পর এক বিজেপি নেতা কে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে বিজেপির মেরুদন্ড ভেঙে দিতে চাইছে।
আরও পড়ুনঃ মিথ্যে পরিচয়ে প্রতারণা, ধৃত যুবক
এই রাজনৈতিক মেরুকরণে আদালতকক্ষে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দু পক্ষের আইনজীবী পরে বিচারকের হস্তক্ষেপে নিস্তব্ধতা ফিরে আসে আদালতকক্ষে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুমিত রঞ্জন মন্ডল অবশ্য দাবি করেন যেহেতু তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
তাই বীরভূম জেলার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং পারিবারিক সম্পর্কিত কাকা অনুব্রত মন্ডলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলবন্দি করতে চাইছে।
কারণ বিগত এক মাস ধরে বীরভূম জেলায় বিজেপি বিভিন্ন গ্রামে নিজেদের সংগঠন মজবুত করছে সুমিত রঞ্জন মন্ডলের হাত ধরে তাই সংগঠনের কোমর ভাঙতে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে তাদের মত সক্রিয় বিজেপি কর্মীদের জেলে পচিয়ে মারতে চাইছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584