নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
করোনা আবহে পুজোর কেনাকাটা সারতে অনেকেই ভরসা রাখছেন অনলাইনের বিভিন্ন সংস্থার উপর। সুযোগ বুঝে নানা লোভনীয় অফারও দিচ্ছে অনলাইন সংস্থাগুলি। প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপিং সংস্থার মাধ্যমে কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা খোয়ালেন খড়্গপুর রেল শহরের এক ঔষুধ ব্যবসায়ী।
খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা ঔষধ ব্যবসায়ী দীপঙ্কর চৌধুরী এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন । তিনি খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিনব কায়দায় অনলাইন সংস্থার নাম করে প্রতারণার জাল বুনে প্রায় ৯৯ হাজার ৮০০টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পেশায় ঔষুধ ব্যবসায়ী দীপঙ্কর চৌধুরী তার মেয়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপিং সংস্থা থেকে পুজোর জামা কিনে ছিলেন। সেই জামা ফেরত দিতে গিয়েই দীপঙ্কর বাবু প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আড়াই বছরের মধ্যে কুল্পীতে প্রধান পরিবর্তন, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
তিনি বলেন ,ওই অনলাইন শপিং সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের নাম করে ফোনে পোশাকের বিস্তারিত বিবরণ নেওয়া হয়। তিনি টাকা ফেরত পাবে জানানোর পরে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এরপর একটি অ্যাপলিকেশন মোবাইলে ইন্সটল করতে বলা হয় । তিনি আরও বলেন, “একেবারে গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মতোই কথা বলছিল। টাকা ফেরত পাওয়া যাবে ভেবেই অ্যাপলিকেশন ইন্সটল করেছিলাম। তারপর চারবারে মোট ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা কেটে নিয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ উদ্বোধনের প্রতীক্ষায় জয়ঁগা ফায়ার স্টেশন
দিন কয়েক আগেই খড়্গপুরের সুভাষপল্লীর বাসিন্দা রাকেশ সেন ও একটি অনলাইন সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্য গরমিলের অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ তিনি বলেন, “আমার অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে লক্ষাধিক টাকার জিনিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই অনলাইন সংস্থার প্রোফাইল ঘেঁটে দেখি আমার মোবাইল নম্বর বদলে দিয়েছে। আমি রীতিমত শঙ্কিত।”
অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজীসামসুদ্দিন আহমেদ বলেন যেভাবে এই অনলাইন প্রতারণা বাড়ছে তাতে সচেতনতা ও সতর্কতাই একমাত্র পথ।খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584