পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বাড়ির মধ্যে পরে থাকা কীটনাশক খেয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় এক শিশু। শিশুটির পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। তবে চিকিৎসকরা মৃতপ্রায় ওই ক্ষুদে শিশুকে সুস্থ করে তোলার জন্য এক প্রকার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ফেলেন।
যার পরেই চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠে ওই শিশুটি। শিশুর অভিভাবকেরা এখন চিকিৎসকদের মধ্যেই সাক্ষাৎ ভগবান দর্শন করছেন বলে জানিয়েছেন। বীরভূমের দুবরাজপুরের ফকিরপাড়ার শেখ নুরতাজিম নামে এক ব্যক্তির ১ বছর ৫ মাসের সন্তান। গত বুধবার বাড়ির মধ্যে খেলা করার সময় বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেলে শিশুটি। যার পরে রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড সম্মান জ্ঞাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হল ভগবানপুরে
সেই অবস্থায় শিশুটিকে সিউড়ি সদর হাসপাতাল তথা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসকেরা ওই শিশুর পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন দিয়ে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করেন। যার পর আবার ওই শিশুটিকে দিতে হয় মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরে। যেখানে তাকে ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা রাখা হয়।
এরপর মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর থেকে বের করে ওই শিশুর শরীর থেকে বিষ বের করে চিকিৎসা শুরু করা হয়।ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক ডাঃ লিয়াকত আলী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরণ্য দত্ত এবং সিউড়ি সদর হাসপাতালে অন্যান্য নার্সদের সহযোগীতায় বর্তমানে ওই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ নাবালিকার বিয়ে রুখলো বড়ঞা ব্লক প্রশাসন
যার পরেই ওই শিশুর বাবা জানিয়েছেন, “চিকিৎসকরা যেভাবে উঠে পড়ে আমাদের বাচ্চাকে সুস্থ করে তুলেছেন তাতে আমরা চিকিৎসকদের মাধ্যমেই সাক্ষাৎ ভগবানকে দেখতে পাচ্ছি।”দেড় বছরের ওই শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার পর শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরণ্য দত্ত জানিয়েছেন, “এই শিশুটির ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হত না।
যাইহোক আমাদের চিকিৎসক এবং নার্সদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ওই শিশুটির প্রাণ ফেরানো সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার ওই শিশুটিকে সমস্ত রকম ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে বের করে শিশু বিভাগে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই শিশুটি সুস্থ থাকলেও আমাদের নজর রয়েছে তার উপর।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584