মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সার! বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু করোনা আক্রান্ত রোগীর

0
48

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারে সুচিকিৎসার কথা বললেও, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা ফের আরও একবার দেখল রাজ্যবাসী। কয়েকদিন ধরেই জ্বর-শ্বাসকষ্ট সহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার গোগ্রাস গ্রামের ৬৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তি।

dead body | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

অবশেষে কয়েকদিন পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। প্রথমে রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় এবং র‌্যাপিড টেস্ট করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় রিপোর্ট আসতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।তার কিছু সময় পরেই হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় রোগীর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

আরও পড়ুনঃ জম্বুদ্বীপের কাছে ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৩ মৎস্যজীবী

ফলে জেলা হাসপাতাল থেকে পাঁশকুড়া নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়। পাঁশকুড়ার বড়মা কোভিড হাসপাতালে যাওয়ার পর সেখানে বেড খালি না থাকায় রোগীকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়, এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। সেখান থেকে রোগীকে চন্ডিপুরে বা অন্য কোন কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালের সামনেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর।

আরও পড়ুনঃ সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে মৃত এক

পাঁশকুড়া থেকে মৃতদেহ পরিবারের লোকজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সারা রাত্রি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালেই পড়ে থাকে মৃতদেহ। এদিকে মৃতের পুত্রবধূ এবং কন্যা দুজনেই কি করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না! জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মৃতদেহকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কোন কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে দুই মহিলা।

পরে মৃতদেহটি তমলুক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত কোন কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় পরিবারের দুই মহিলা জেলা হাসপাতালের বাইরে বসে। আর এই ঘটনা জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও একবার প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here