রিচা দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ
বড়ঞা থানার অন্তর্গত বড়ঞা চৌধুরী পাড়ার কালীপুজোর প্রতিমা তৈরির কাজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়। আবার পরের দিন সূর্যোদয়ের আগেই পুজো সম্পন্ন করে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়ে যায়।
এই পুজো ঠিক কত বছরের পুরনো তা কেউই সঠিকভাবে বলতে পারেন না। তবে আনুমানিক বাংলা ১৩৯২ খ্রীষ্টাব্দে তপন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি তাঁর কিছু সঙ্গী নিয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন বলে জানা যায়।
সেই রীতিতেই বছরের পর বছর পুজো হয়ে আসছে এখানে। পূর্বে মাটির বেদীতে মায়ের আরাধনা করা হতো। একটি ঘট পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হতো আরাধনা। বিগত ৩০ বছর ধরে সেটিকে পাকা করে মন্দির বানানো হয় ও প্রতিমা স্হাপন করা হয়। এই পুজোকে ঘিরে আশেপাশের গ্রামের বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষেরা ভিড় করেন।
সূর্য উদয়ের পর মন্দির প্রাঙ্গনের পাশ থেকে বাঁশ নিয়ে এসে প্রতিমার কাঠামো তৈরি করা হয়। সুতলি, খড়,মাটি সব কিছুই ওই দিন ব্যবস্থা করা হয়। বহরমপুর থেকে প্রতিমা তৈরির জন্য গঙ্গা মাটি নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ মশাল জ্বালিয়ে কালীপুজো বড়বেলুন গ্রামে
সারাবছর প্রতিমা থাকে না মন্দিরে। সকাল থেকে প্রতিমা তৈরি করে, রাতে প্রতিমা বেদিতে প্রতিষ্ঠা করার পর পুজো সম্পন্ন করা হয়। এরপর আলো ফোটার আগেই আসে বিসর্জনের পালা। নিয়মের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটানো যায় না এই পুজোয়। এমনকি ইচ্ছে থাকলেও ওই মন্দিরের মাথায় ছাদ তৈরি করতে পারেননি আজ অবধি কেউ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584