কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
লালগড়ে শবরপল্লিতে একাধিক শবরের মৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।এই নিয়ে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ ইতিমধ্যেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি দাবি করেছেন, অনাহারে কারণে মৃত্যু হয়নি।শনিবার শবরদের মৃত্যুর ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করতে লালগড়ে হাজির হলেন কংগ্রেস এবং বাম পরিষদীয় দলের আট জন সদস্য ।ওই দলে ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক অসিত মিত্র, সুখবিলাস বর্মা, সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও সিপিএমের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মুর্মু, প্রদীপ সাহা, সুজিত চক্রবর্তী, ইব্রাহিম আলি ও শ্যামলী প্রধান।
এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাসকে ।বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, “সরকারি নজরদারির অভাবের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এরা অবহেলিত।অবহেলিত থাকার ফলে মৃত্যু হয়েছে। মানুষ যত ক্ষুধার্ত, একশো দিনের কাজ পায় নি,আর এটাই মাওবাদীদের হাতিয়ার করার মূল জায়গা।যদি মাওবাদীরা এখানে মাথা তুলে দাঁড়ায়,তারজন্য সরকার দায়ী থাকবে।বাম ও কংগ্রেসের নেতারা একযোগে বলেন, মারা যাওয়ার পর সব হচ্ছে। এদের যে পাওনা ছিল, সেগুলি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। যে পরিবারগুলি এখন রয়েছে, তাঁদের সব কিছুর দায়িত্ব নিতে হবে।যে পরিবারগুলি মারা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।শবরদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে অধিকার দিয়েছে, তা দিতে হবে।শবর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচুর স্কীম রয়েছে, সেই স্কীম গুলি এদের জন্য আসছে কিন্তু মাঝপথে হারিয়ে যাচ্ছে।শৌচাগার ও বাড়িগুলির অবস্থা কঙ্কালের মতো।এই আমলে এরা কিছু পায় নি। রেশনে অন্যরা যা পায়, এরাই তা পাচ্ছে। এরা একশো দিনের কাজ পায় নি। অনেকেরই জব কার্ড নেই। আমরা উভয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সোমবারই আমরা বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণ করব।”
আরও পড়ুনঃ দিনহাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আহত এক কর্মী সমর্থক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584