নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
ওড়িশায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সামনে এলো এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সুন্দরগড় জেলার আদিবাসী-অধ্যুষিত গ্রাম মালুপাদা-র বাসিন্দারাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে প্রার্থীদের ‘পরীক্ষা’র ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মৌখিক এবং লিখিত ‘প্রবেশিকা পরীক্ষা’-র ব্যবস্থা করা হয়। নির্বাচনের আগের দিন প্রকাশিত হবে ফলাফল, পাশ করলে তবেই সমর্থন প্রার্থীকে- এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
কুটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মালুপাদা গ্রামের নির্বাচন আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় স্কুল ক্যাম্পাসের একটি সভায় ৯ জন প্রার্থীকে আমন্ত্রণ করা হয়, সেখানেই তাঁদের জন্য ‘পরীক্ষা’র ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও একজন প্রার্থী আসেননি। উপস্থিত ৮ প্রার্থীর ‘প্রবেশিকা পরীক্ষা’ নেওয়া হয়। কেন ভোটে দাঁড়িয়েছেন, সরপঞ্চ প্রার্থী হিসেবে পাঁচটি লক্ষ্য,এর আগে কল্যাণমূলক কাজে জড়িত থাকার বিশদ বিবরণ, পঞ্চায়েত ও গ্রামের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল এই পরীক্ষায়। পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুনঃ মহামারীতে দুবছর বন্ধ ব্যবসা, আছে ট্যাক্স-বীমার খরচ, ৪৫ টাকা কিলো দরে ২০টি বাস বিক্রি মালিকের
স্থানীয় বিডিও তথা নির্বাচনী আধিকারিক রবীন্দ্র শেঠি বলেন, “এমন কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই। তবে কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত হবে।“ পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, যে কোনও স্তরের নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ২০ বছর হিমালয়ের ‘বাবাজি’-র নিয়ন্ত্রণে ছিল NSE-র যাবতীয় সিদ্ধান্ত! দাবি সংস্থার এমডি চিত্রা রামকৃষ্ণর
এমন অভিযোগও উঠেছে যে বিভিন্ন দলের প্রতীকে ভোটে দাঁড়ান যে প্রার্থীরা অনেক সময়ই দেখা যায় যে তাঁরা নিজেদের এলাকা সম্পর্কেই ভালোভাবে জানেন না। এছাড়াও দুর্নীতির অভিযোগ তো থাকেই। পাশাপাশি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিও এভাবেই জড়িয়ে যায়। এসবের মধ্যে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই-এর এই পরীক্ষা যে একেবারেই নজিরবিহীন তা বলাই যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584