নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
নাবালকদের জোর করে মুখমেহনে বাধ্য করা তেমন গুরুতর অপরাধ নয়। ২০১৬ সালের একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের এমন এক বিতর্কিত রায়ে স্তম্ভিত অনেকেই। এমনকি কম গুরুতর অপরাধ বলে আসামীর কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০ বছরের পরিবর্তে ৭ বছর করে দেওয়া হয়েছে এই রায়ে।
ঘটনাটি ঘটে ঝাঁসিতে, ২০১৬ সালে। দশ বছরের এক কিশোরকে ২০টাকার লোভ দেখিয়ে মুখমেহনে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে সোনু কুশওয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ঐ কিশোরকে এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় সোনু। সেখানে নিয়ে গিয়ে ঐ কিশোরকে মুখমেহন করতে বাধ্য করেছিল সে। পরিবর্তে ঐ কিশোরকে ২০ টাকাও দিয়েছিল সোনু।
কিছুক্ষণ পরে ঐ কিশোর বাড়ির ফিরলে তার হাতে কুড়ি টাকা দেখতে পেয়ে অভিভাবকরা জানতে চান যে কোথা থেকে ঐ টাকা সে পেলো। তখন পরিবারের সদস্যদের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে কিশোরটি। ছেলের মুখ থেকে সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তার বাবা। মামলাটি নিম্ন আদালতে উঠলে পকসো (POCSO) আইনে সোনু কুশওয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত।
আরও পড়ুনঃ উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির আদালত
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানায় সোনু। সেই মামলাতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অনিলকুমার ওঝা আসামী সোনুর কারাবাসের মেয়াদ ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৭ বছর ঘোষণা করেন। বিচারপতি বলেন, পকসো আইনের যে ধারায় সোনুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, সেখানে গুরুতর অপরাধের ভিত্তিতে এই সাজার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মুখমেহনে বাধ্য করা তেমন গুরুতর অপরাধ নয়। যৌনাঙ্গ বা অন্য কিছু যদি কিশোরের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করানো হলে তবেই তা গুরুতর অপরাধের তালিকায় পড়ত।
আরও পড়ুনঃ প্রেমে প্রত্যাখানের জেরে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা ফালাকাটায়
এই কারণ দেখিয়েই সোনুর সাজা ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৭ বছর করে দেন বিচারপতি অনিল কুমার ওঝা। তবে এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন যৌন নিগ্রহ নিয়ে কাজ করেন এমন অনেকেই, তাঁদের অভিমত যেকোন ধরণের যৌন নিগ্রহই গুরুতর অপরাধ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584