সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
বাংলার আবাস যোজনা ঘরের দখল করে তৃণমূল পার্টি অফিস বলে এলাকায় পরিচিত ছিল। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আবাস যোজনার উপভোক্তা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক দপ্তরে আবেদন করলে ঘটনাটি সামনে আসে। তারপরেই চাঞ্চল্য শুরু হয়। জামালপুর ব্লক প্রশাসন জামালপুর থানাকে একটি চিঠি পাঠান। তাতে ঘরের দখল ফেরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জামালপুরের কাঠুরিয়াপাড়ায় নীল সাদা রঙের ঘরটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর ছবি, বাতানুকূল যন্ত্র সবই আছে। ঘরে নিয়মিত বৈঠক হত নেতাদের। গতকাল নিউজফ্রন্ট বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছিল। উপভোক্তা শঙ্কর মাঝিকে ঘর ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি বিক্ষোভ দেখায় এবং পঞ্চায়েত ঘেরাও করে।
আরও পড়ুনঃ দলীয় কার্যালয় হয়ে গেল সরকারি প্রকল্পের ঘর
তারপরেই পঞ্চায়েত কর্মীরা ঘরের দেওয়ালে প্রকল্পের আইডি নাম্বার, উপভোক্তার নাম লিখে দেয়। শঙ্করবাবু অভিযোগ করেন, তাঁর নামে আবাস যোজনা ঘর হয়েছে অথচ স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামরঞ্জন সাঁতরা গায়ের জোরে তা দখল করে বিলাসবহুল পার্টি অফিস তৈরি করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কখনো খোলার চেষ্টাও করেননি, অথচ তাঁর নাম ভাঁড়িয়ে টাকা তোলা হয়েছে। শঙ্করবাবুকে ওই ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামরঞ্জন সাঁতরা দাবি করেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ কাজ করেননি। দলের নির্দেশেই করেছেন। তাই তিনি কিছু বলবেন না। যা বলার দল বলবে। তৃণমূলের ব্লক কার্যকারী সভাপতি প্রদীপ পাল গতকাল ঘরটি পার্টি অফিস বলে দাবি করলেও এদিন বলেন, দলীয়ভাবে তদন্ত করে দেখা হবে ঠিক কি হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জামালপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার কাঠুরিয়াপাড়া এলাকাতে শুধু শঙ্করবাবু নয় আরও দুজনকে সরকারি প্রকল্পের ঘরের না দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে তৃণমূল নেতা রামরঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে।
সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলে এক্ষেত্রেও আশ্বাস দেন তৃণমূলের জামালপুর ব্লক কার্যকারী সভাপতি প্রদীপ পাল। কেউ দোষ করলে তার খেসারত দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584