শ্যামল রায়,কালনাঃ
মঙ্গলবার মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বোহার এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোদলা গ্রামে জৈব সার উৎপাদন হয় কিভাবে এবং তার বিপণন ব্যবস্থা কিভাবে হয় সরেজমিনে দেখতে আসে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের একটি প্রতিনিধিদল।
গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাসমত মোল্লা জানিয়েছে যে এই প্রকল্পটি রাজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।এই প্রকল্পটির থেকে তারা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিটা বাড়ি থেকে নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করে পচন এবং অপচনশীল বর্জ্য পদার্থকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে জৈব সার তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন। এর ফলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের জমিতে জৈব সারের প্রয়োগ করে ভালো ফসল উৎপন্ন করতে সক্ষম হচ্ছেন।এর ফলে পচনশীল নয় এমন বহু পদার্থ রয়েছে যাকে না সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর এবং পরিবেশ দূষণ হতে পারে তার থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি বাড়িতে তাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি গাড়ি প্রতিদিন সকালবেলা যাতায়াত করে থাকে।এই গাড়ি গুলিতে প্রতিটা বাড়ির নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে সলিড লিকুইড ম্যানেজমেন্ট কেন্দ্রে জমায়েত করে এখান থেকে জৈব সার তৈরি করা হয় যা কিনা কেঁচো সারে পরিণত হয়।এর ফলে চাষিরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনি এলাকার মানুষ পরিবেশের হাত থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন।হাসমত মোল্লা আরও জানিয়েছেন যে তাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি থেকে পচন এবং অপচনশীল বস্তু সংগ্রহ করে আনা হয়।
আরও পড়ুনঃ শান্তিনগরে সমতা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের এটিএম পরিষেবা শুরু
এর ফলে পঞ্চায়েত অঞ্চল অনেকটাই দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে এবং জৈব সারের মধ্যে দিয়ে কর্মসংস্থানের একটা সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং চাষিরা ভালো ফসল উৎপন্ন করতে পারছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।এই কাজকে দেখার জন্য নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল তাদের এই প্রকল্পটি দেখেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584