সরকারী সাহায্যের প্রত্যাশায় অর্ধাহারে দিন কাটছে অনাথ আশ্রমের শিশুদের

0
109

শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিন দিনাজপুরঃ

সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা।

আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত দত্ত ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিদের দরজায় দরজায় ঘুরছেন ৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সাহায্য ৷

আবাসিক। নিজস্ব চিত্র

আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে কুশমণ্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকায় অনাথ আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন রঞ্জিতবাবু ৷ এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন তিনি ৷ নিজের বেতনের টাকা থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতেন ৷ কিন্তু ২০১৪ সালে অবসর নেন ৷

তারপর থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতে সরকারি সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন জানান। কিন্তু লাভ হয়নি ৷ বর্তমানে প্রায় ৯০জন শিশু রয়েছে এই অনাথ আশ্রমে ৷

রঞ্জিত দত্ত, আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার।নিজস্ব চিত্র

রঞ্জিতবাবু বলেন, “আশ্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত ৷ কষ্টে দিন কাটছে ৷ কিছু মানুষ নিয়মিতভাবে না হলেও অল্পবিস্তর চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেন। আমি কিছু দিয়ে কোনও রকমভাবে চলছি ৷ সব সরকারি দপ্তরে দরখাস্ত করেছি ৷

সাহায্য মেলেনি ৷ এটা সামাজিক কাজ ৷ তাই আমি চাই এটা সরকার দেখুক, এগিয়ে আসুক ৷ আমাদের একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিক ৷ যাতে আমরা এই ভিক্ষার জীবন থেকে অব্যাহতি পাই ৷ ”

আরও পড়ুনঃ এনআরসি আতঙ্কে মৃত্যু, সাহায্যের আশ্বাস বিধায়কের

এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিজের খরচে আশ্রম চালান। এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সাহায্য পাননি । রান্নাঘর, খেলার ঘর বা পড়ার ঘরের অবস্থা বেশ খারাপ ৷

ভারত সরকার সবার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করলেও এই আশ্রমে এখনও পর্যন্ত উনুনে রান্না হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু ভাবা দরকার ৷ শুধুমাত্র সরকার নয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে আবেদন করব ৷ আপনারা এগিয়ে আসুন ৷ এই শিশুদের পাশে দাঁড়ান ৷ “

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here