নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘ওস্তাদ’ বলতে এখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হচ্ছে। আসলে তো তিনিই ওস্তাদ৷ এই ছবি তাঁকে কেন্দ্রে রেখেই। একটু অন্য কায়দায় কবিগুরুকে স্থাপন করতে চাইছেন পরিচালক পলাশ দে। এর আগে ‘অসুখওয়ালা’ নামের একটি অন্য ঘরানার ছবি বানিয়েছিলেন পরিচালক পলাশ। কবিগুরুকে এখানে চারটি অবতারে দেখা যাবে। সেই অবতারগুলি হল- রবি, ইন্দ্র, নাথ, ঠাকুর।
রবির জীবনের লক্ষ্য এক বিশ্ব পাঠশালা গড়ে তোলা। দেশ বিদেশের মানুষ এবং বিভিন্ন ফান্ড থেকে টাকা জোগাড় করা শুরু করে। জমি দখলদারের গুলিতে এক ছাত্রের মৃত্যুর পরেও প্রচুর ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে একসময় রবি সেই অনুন্নত গ্রামে বিশ্বপাঠশালা প্রস্তুত করার প্রয়াস নেয়।
আরও পড়ুনঃ রাজ পরিবারে সুখবর, মা হতে চলেছেন শুভশ্রী
ইন্দ্র কবিতা, গান লেখে, সুর দেয় এবং ডিটিপি করে। একটু খ্যাপাটে টাইপের সে। প্রকৃতির সঙ্গেই বেশি বন্ধুত্ব ওর। গাছ, নদী, পাখির সঙ্গে কথা বলে, আড্ডা দেয়। ট্যালেন্ট হান্ট-এ ভোট পেয়ে যদি ফের মঞ্চে ফিরে আসা যায় তা হলে বিলুপ্ত গাছ, প্রাণী ফিরতে পারবে না কেন? ইন্দ্র লড়াই শুরু করে সমগ্র মানবজাতির বিরুদ্ধে।
নাথ হল সেলসম্যান। পোকামাকড় না মেরেও কীভাবে সমাধান করা যায় সেটাই প্রচার করে সে। রোজগারের প্রায় সমস্ত টাকায় নাথ বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ কেনে আর ধ্বংস করে সেইসব ওষুধ। ঠাকুর হল শিল্পী। পৃথিবী বিখ্যাত ছবি আঁকিয়ে। শেষ বয়সে এসে সিদ্ধান্তে পৌঁছোয় যে শিল্প বদলাতে পারেনি মানুষের হিংসা।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ কর্মীদের স্যালুট জানিয়ে শর্ট ফিল্ম ‘সহযোদ্ধা’
নিত্যনতুন অস্ত্র আবিষ্কার হয়েই চলেছে। ঠাকুর সমস্ত কিছু থেকে চুপ করে যায়। বিশাল জমিদারির অবশীষ্টটুকু কোনও মতে আগলে বেঁচে আছে। এরা চারজনই আসলে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চারজনের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে একসূত্রে বেঁধে আছে মৃণালিনী, কাদম্বরী, রাণু এবং ভানুসিংহ নামের চরিত্র।
এক অ্যাটেম্প্ট টু মার্ডার আর ছিনতাইয়ের তদন্তে ধীরে ধীরে রহস্য প্রকাশ পায় অনেককিছুর। রবীন্দ্রনাথের সময় আর বর্তমান সময়কাল মিলেমিশে যায় গল্পের প্রতিপদে। প্রাণ- প্রকৃতি-শান্তি আর যুদ্ধের টানটান উত্তেজনায় চলতে থাকে চরিত্রেরা। তারপর? পরেরটা জানানোর কাজ শুরু হতে গিয়েও হল না। থমকে গেল শুটিং। শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৭ এপ্রিল। এই লকডাউন কাটলেই ছবির কাজে হাত পলাশ দেবেন বলে আশা করা যায়।
‘ওস্তাদ’-৩ রবির ভূমিকায় রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্র- কিঞ্জল নন্দ, নাথ সুব্রত দত্ত, ঠাকুর- অরুণ মুখোপাধ্যায়
কাদম্বরী- সোহিনী সরকার, ছুটি- অপরাজিতা ঘোষ, রাণু- অমৃতা চট্টোপাধ্যায়, ভানুসিংহ- অমিত সাহা নেতা সায়ন ঘোষ। ডিওপি অমর দত্ত।সম্পাদনায় সংলাপ ভৌমিকমিউজিক করেছেম ময়ুখ- মৈনাক। ছবির ভাবনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা পলাশ দে’র।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584