পল্লব দাস,বীরভূমঃ
সুরে মাটির গন্ধ।যদিও শারিরীক ভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।বীরভূম জেলার অন্যতম সতীপীঠ তথা কালি সাধকদের সিদ্ধস্থান তারাপীঠ।এই জেলাটি বাউল,কীর্তন,সাধন-ভজনের প্রানকেন্দ্র লোক গানের অনেক বাউল ফকির এই মাটিতে জন্মেছেন, সৃষ্টিশীল গানে ভুবন মোহিত করেছেন যুগ
যুগ।এই মাটির সুরের একজন কান্ডারী কানাই দাস বাউল।জন্ম এক নিম্নবৃত্ত ক্ষেত মজুর ঘরে।খুব ছোটবেলাতেই এক মারণ রোগে হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টি শক্তি তবে সুরের দোল গলা ছাড়েনি আজও।বয়স চার কুড়ি ছুঁই ছুঁই সুরের দখল আর স্মৃতিশক্তি আজও মুগ্ধ করে বহু শিল্পী ও শ্রোতাদের।রাত্রি ১১ টা তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ হচ্ছে একটু এগিয়ে যেতেই শোনা গেল একটি একতারা আর গলার বাউলিয়া সুর।তারপর কাছে যেতে স্পষ্ট হলো সব।কানাই বাউল গাইছেন একের পর এক গান,চারদিকে বেশ কিছু মানুষ বসে আছেন গুনগুন করছেন,করতালি দিচ্ছে।কথা বলে জানা গেল কানাই দাস বাউল সহস্রাধিক গান জানেন যার মধ্যে বাউল ছাড়াও আছে ফকিরি,দেহতত্ত্ব,কীর্তন , রামপ্রসাদী , শ্যামাসংগীত প্রভৃতি। উনি একটা অঞ্চলের অনুষ্ঠানে গিয়ে কুড়িটির ওপর গান করেন পরের অনুষ্ঠানে আবার নতুন গান করেন একটাও গান দ্বিতীয়বার গান না।
আর আশ্চর্য্য হলো তিনি কোনো কিছুই দেখতে পান না কিন্তু গানের কথা সুর নির্ভুল ভাবে গাইতে পারেন এই বয়সে এসে এটা এক অন্যন্য ঘটনা।বহু গুনী বাউল সম্রাটের সাথে একই মঞ্চে গান করেছেন।এরকম গুনি বাউল শিল্পী যার কাছে
চোখের প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি সেই শিল্পীকে কুর্নিশ জানাই বাংলা।
আরো একশো বছর তার সুস্থ দীর্ঘায়ু কামনা করি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584