শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃ
পূর্বস্থলী থানার চুপির পাখিরালয় পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করতে একাধিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে এই পাখিরালয় পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে থাকার কারণে উন্নতির ব্যাপকতা সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারেনি বলে স্থানীয়দের দাবি। তাই স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন এই পাখিরালয়টি যেহেতু পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে নজরদারিতে এবং স্বশাসিত পঞ্চায়েতের অধীন দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই পাখিরালয়টি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকবে না গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকবে এই নিয়ে বিতর্কের সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি।তাই ফের স্থানীয়দের কাছে এই পাখিরালয় ঘিরে অনেক স্বপ্ন রয়েছে বলে জোরালো দাবি উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যম দিয়ে পাখিরালয়টি পরিচালিত হোক।এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিদায়ী প্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, স্থানীয়দের দাবি একদম অযৌক্তিক নয়।তবে পাখিরালয় ঘিরে এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়ন যত বাড়বে অর্থনৈতিক ভিত শক্ত হবে।যত বেশি পর্যটক পাখিরালয় আসবে ততই অর্থনৈতিক কাঠামোর উন্নতি ঘটবে। ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা যত বাড়বে ততই এলাকার উন্নতি হবে। তাই চুপি পাখিরালয় কে আরো উন্নতি করার লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে দুই কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে পর্যটন দপ্তরের কাছে। তবে এটাও ঠিক পাখিরালয়ের জন্য যতটুক জায়গা আছে এই জায়গা না বাড়ানো হলে পাখিরালয়ের পরিকাঠামো আরও বাড়ানো যাবে না বলেও পঙ্কজ বাবু মত প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যে পাখিরালয় গেস জমি কেনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে,কিন্তু জমির দাম এতটাই বেশি চাইছেন মালিকপক্ষ যা কিনা সীমাহীন তাই একটু সময় লাগছে আগামী দিন জমি না কেনা পর্যন্ত ওই পাখিরালয়ের আরো শ্রীবৃদ্ধি ঘটানো একটু হলেও অসম্ভব হবে।এখানে যে পক্ষীনিবাস গড়ে উঠবে এখানে আসা বিভিন্ন দেশ বিদেশ থেকে যে সমস্ত পাখি আসে তাদের সম্পূর্ণ সচিত্র পরিচয় লিপিবদ্ধ থাকবে।এ ছাড়াও স্থানীয় যে সমস্ত পরিচিতি খ্যাতিমান মানুষ জন্মেছেন তাদের জীবনী সম্পর্কেও তথ্য এখানে মিলবে এবং তাদের ছবি পক্ষী নিবাসে থাকবে।যেমন বাংলা সাহিত্যে ছন্দের যাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে ছবি এবং তথ্য এখানে মিলবে এখানে জন্মেছিলেন অক্ষয় কুমার দত্ত তাঁর সম্পর্কেও তথ্য মিলবে। বাংলার সংবাদপত্রের জগতে প্রথম সংবাদপত্রের জনক গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ছবি এই পক্ষীনিবাসে থাকবে।
আমরা জানি প্রায় ৩০ বছর ধরে চুপির চরায় বিভিন্ন দেশ বিদেশ থেকে পাখির আনাগোনা হয়ে থাকে শীতকালে।কালো জলে শ্যাওলার মধ্যে দিয়ে নৌকায় চেপে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের পাখি চোখে দেখতে কার না ভাল লাগে তাই পাখিরালয় কে উন্নতি করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি গ্রাম পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়েছে।
এখানে তিব্বত সাইবেরিয়া এশিয়া ইউরোপ থেকে প্রচুর পাখি শীতকালে আসে। তারা এখানে এসে ডিম পাড়ে বাচ্চা বড় হলে একসাথে আবার ফিরে চলে যায় ওই সব জায়গায়।এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে এই পক্ষীনিবাস থেকে। সুর হেন রেডি থ্যালকন ,জাকানা , চখাচখি, বালি হাঁস,রেড, ক্রুসেড ,পোচাড, প্রভৃতি নানান ধরনের পাখি এখানে আসে।
ইতিমধ্যে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের একশো দিনের প্রকল্প রাস্তার কাজ হয়েছে । বুড়িগঙ্গার খাটো মাটি দিয়ে কিছুটা উঁচু করা হয়েছে।এছাড়াও পর্যটন দফতরের উদ্যোগে পাখিরালয় টির।
ব্যান্ডেল কাটোয়া রেল শাখার পূর্বস্থলী রেল স্টেশন থেকে চার-পাঁচ মাইল দূরেই গঙ্গা সংলগ্ন মুড়িগঙ্গায় গড়ে উঠেছে একটি পাখিরালয়।পাখিরালয় কে আরো পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে পর্যটন দপ্তরের কাছে দু কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে পক্ষীনিবাস গড়ে তোলার জন্য।
এছাড়াও পাখিরালয় এর মধ্যে শিশুদের উপযোগী একটি ইকো পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিদায়ী প্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়। পাখিরালয়ের যত বেশি পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটবে ততই অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যাবে এলাকার উন্নতি হবে ব্যবসায়ীদের সেই সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সোমনাথ দে জানিয়েছেন যে পাখিরালয়টিতে একটি পক্ষীনিবাস গড়ে তোলা হবে।সেই সাথে আরো ব্যাপক উন্নতি ঘটানোর জন্য ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে আর্থিক অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584