ভারত-পাক বাণিজ্যিক সম্পর্কে গতি, তুলো ও চিনি আমদানি করবে পাকিস্তান

0
75

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

পাক সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত বণিক মহলের। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় স্তব্ধ হয়ে থাকার পর ভারত, পাকিস্তান বাণিজ্যিক সম্পর্কে গতি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হাম্মাদ আজহার সম্প্রতি জানিয়েছেন, পাকিস্তান ভারত থেকে তুলো ও চিনি আমদানি করা শুরু করবে।

trucks | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

পাক সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতের বনিকমহল।তাঁদের মতে, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও উন্নতি ঘটবে।জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপের পর ২০১৯ সালের অগস্ট থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সবরকমের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে যায়।এর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা জিনিসের ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ ভারতে একাধিকবার মানবাধিকার লঙ্ঘন, উদ্বেগ প্রকাশ বিডেন প্রশাসনের

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ৪০ জন জওয়ানদের নৃশংস হত্যার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা রদের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে চরম তিক্ততার সৃষ্টি হয়।তবে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরু হওয়ায় এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফেডারেশন অফ কারয়ানা অ্যান্ড ড্রাই ফুড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অনিল মেহরা।

তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি পাকিস্তানও উপকৃত হবে।পাকিস্তান থেকে ভারতে জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের অনেক সিমেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রচুর সিমেন্ট আমদানি হয়।কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের ব্যবসাতেই এর প্রভাব পড়েছে।কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাব, পাকিস্তান থেকে ভারতে জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক যেন কমানো হয়।

আরও পড়ুনঃ ‘পাকিস্তান দিবস’-এ মোদির শুভেচ্ছা বার্তায় উচ্ছ্বসিত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

২০০ শতাংশ যে আমদানি শুল্ক চাপানো হয়েছে, তা যেন বাতিল করা হয়।অল ইন্ডিয়া সিমেন্ট ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমপিএস চাথা জানান, পাকিস্তান থেকে সিমেন্ট, খেজুর, নুন ভারতে আমদানি হত ২০১৯–এর অগস্টের আগে।

আগে যেখানে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ছিল ২৫০ টাকা, সেটাই এখন ৪৫০ টাকায় পৌঁছেছে। পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে লবন যেখানে কেজি প্রতি ৬ থেকে ৭ টাকায় বিক্রি হত, সেখানে এখানে লবন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। খেজুরের দামও ১০ গুন বেড়ে গেছে।পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুবাই, আফগানিস্তান থেকে নুন, খেজুর আনতে হত।তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আবার শুরু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনিও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here