নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি এদিন প্রথমে ঘাটালে যান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। মানুষের সঙ্গে এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে ফিরে মেদিনীপুর কালেক্টরেট মিটিং হলে মন্ত্রী, বিধায়ক, ডিএম, এসপির সঙ্গে বৈঠক করেন।বিকেলে তিনি দাঁতন ঘুরে দেখবেন।
মানুষের হাতে দ্রুত নগদের যোগান দিতে পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে ঢালাও কাজের ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কীভাবে একশ দিনের কাজে লাগানো যায়, তা সরজমিন খতিয়ে দেখতে আসেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। কোথাও মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে। কোথাও বাড়ির চালা উড়ে গেছে। হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে শিরীষ গাছ। এরমধ্যেই একশ দিনের কাজ করছেন শ্রমিকরা। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে রওনা দিল রায়গঞ্জের একটি দল
ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই , দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূইঁয়া , চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই , মহকুমা শাসক , বিডিও , পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পাশাপাশি লক ডাউনের জেরে কাজ হারানো গ্রামের মানুষ ও কাজ হারিয়ে ফিরে আসা প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিক যাতে একশ দিনের কাজ পান তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্তের প্রকৃত তথ্য পেতে এবার আর টি আই
দুপুরে মেদিনীপুরে জেলা শাসকের কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে এসে পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, ‘আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক। এরজন্য বেশ কয়েকটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।’ তাঁর কথায় , ‘এখন অনেক গুলো দফতরের কাজ পঞ্চায়েত দফতরকে করতে হচ্ছে। যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ পান এজন্য বীজ তলা তৈরির করা ,বাঁধ নির্মাণ , মাছ চাষ , ঝড়ে ভেঙে যাওয়া বাড়ি পুনঃনির্মাণ , ভেঙে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর জন্য নির্মাণের কাজ সহ আরো অনেক কাজ সৃষ্টি করা হয়েছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584