পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলায় কর্মহীন অফিস-আদালতে

0
99

শ্যামল রায় কাটোয়া:শুক্রবার চোখে পড়ল পঞ্চায়েতে, ব্লক অফিসে, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে কোনরকম কাজকর্ম হচ্ছে না ।থমকে পড়েছে উন্নয়নমূলক কাজের গতি।পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলার কারণে এই রকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। শুক্রবার যেমন কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক অফিস ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দেখা গেল যে কর্মচারীরা আসছেন বটে কিন্তু চুপচাপ বসে রয়েছেন। চারপাশে একটাই গুঞ্জন মামলার রায় কি হবে? ভোট কি পিছোবে ? পিছলে  কবে হবে? সুস্পষ্ট চিত্র এখনো ফুটে ওঠেনি শাসক কিংবা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কাছে এমন কি সরকারি কর্মচারীদের কাছেও।তাই উন্নয়নমূলক কাজের গতি অনেকটাই থমকে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এইসব মহকুমার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী জানিয়েছেন যে বিষয়টি আদালতের অধীন তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না তবে ভোট তাড়াতাড়ি হয়ে গেলেই ভালো। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোটের কারণে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা সব সময় থাকে। কারণ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদে অনেকেই ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় দিন গোনেন। তাই উন্নয়নের বিষয়ে বা সরকারি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকার কারণে থমকে পড়ে উন্নয়ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনী বিধি লাগু হতেই সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ।  আইনের বেড়াজালে পড়ে কোনো প্রকার অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ফলে অনেকটাই উন্নয়নমূলক কাজ পিছিয়ে পড়বে বলে দাবি করা হয়েছে শাসক দলের নেতাকর্মীদের তরফে।পূর্বস্থলী এক নম্বর ও দুই নম্বর ব্লক অফিসেও সেরকম কাজ নিয়ে একটা হইচই নেই সবাই যেন নীরব দর্শকের মতো অফিসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছেন। একটাই আলোচ্য বিষয় ভোটের রায় কি হবে? বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ব্লক অফিসে সমিতির অফিসের কর্মচারীরা বলছেন ভোট পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। একটাই চিন্তা ভোট।
এর ফলে সাধারণ মানুষ দমবন্ধ অবস্থায় রয়েছেন। সাধারণ মানুষের নানান ধরনের পরিসেবামূলক কাজের জন্য অফিস আদালতে আসতে হয়। ভোটের কারণে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here