নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। আর সেই কারণে ক্রমশ দীর্ঘমেয়াদী হচ্ছে লকডাউন। এহেন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। পথে বসার উপক্রম হয়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের। মধ্যবিত্তের পকেটেও খালি হয়ে আসছে। এদিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বেশিরভাগ অভিভাবকই চান তাঁদের ছেলেমেয়ে বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনো করুক।
কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলোতে এখন পড়াশুনো সহ সামগ্রিক খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে এখন বিকল্প ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন বাবা-মায়েরা। আজকাল হরিয়ানা ও পঞ্জাবে একটা নতুন বিষয় দেখা হচ্ছে। সেখানকার অনেক পরিবারই বাচ্চাদের বেসরকারি স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে সরকারি স্কুলে ভর্তি করছে। কারণ এই লকডাউন পিরিয়ডে বেসরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাদের খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না সেখানকার অভিভাবকদের পক্ষে।
পঞ্জাবের মোগা জেলার লক্ষপ্রীত সিং, মার্চ মাসে একটি বেসরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিলো। কিন্তু এবার তাঁকেও সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে। কারণ ওঁর বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কিন্তু লকডাউন দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় চাকরি খুইয়েছেন তিনি। ফলে বেসরকারি স্কুলের পাহাড়প্রমাণ খরচ সামলানো এখন আর তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের গরিব কল্যাণ যোজনায় রাজ্যকে যুক্ত করার আবেদন জানিয়ে চিঠি অধীরের
লক্ষপ্রীত বলেছে, “আমি একটি বেসরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির পর্যন্ত পড়েছি কিন্তু লকডাউনের কারণে আমার বাবার চাকরি চলে যায়। তাই এখন বাবার আয় প্রায় নেই বললেই চলে, সেজন্য আমি বেসরকারি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে এখানে খাবারটাও পাওয়া যাবে।”
আরও পড়ুনঃ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের স্কুল-কলেজ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
উল্লেখ্য, যতদিন গিয়েছে সরকারি স্কুলের থেকে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তত বেড়েছে। কিন্তু এখন একেবারে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০১৯-২০২০ সালে সরকারি বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩.৫২ লক্ষ, কিন্তু ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬২ লক্ষ। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতেও ভর্তির সংখ্যা ২.২৫ লক্ষ থেকে বেড়ে ২.৯৫ লক্ষে পৌঁছেছে। এদিকে, দেশে দ্রুত হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৫ হাজার ৯৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪৬৫ জনের। ফলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584