শিবশংকর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
গত বছর বাড়ির পাশে একটি স্কুলে কয়েকদিন যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বছর ছয়ের পারিজাত।জ্বর কোন ভাবেই কম ছিল না।স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি।ধরা পড়েনি রোগ।এরপর বালুরঘাট হাসপাতলে ভর্তি করার পর মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে পারিজাতের বাবা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের।বছর ছয়েকের ছেলের দুটো কিডনি বিকল হয়ে গেছে যে। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে রওনা দেন ব্যাঙ্গালোরে। গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাঙ্গালোরে ছেলের চিকিৎসা চলছে। ১৮ বছর না হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।অসুস্থতার জন্য পারিজাত দাঁড়ানো বা চলাফেরা করতে পারে না।
গত রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়ে পারিজাত।ফের থাকে বালুঘাট হাসপাতালে সিসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়।সেখানে আবার নতুন রোগ ধরা পড়ে। ছেলের হৃদপিণ্ড অনেকটাই বড় হয়ে গেছে এবং তাতে জল ধরেছে।এদিকে ছেলের চিকিৎসা করতে ভিটেমাটি শেষ সম্বল টুকু ও বিক্রি করে ফেলেছেন দীপঙ্করবাবু। ছেলের চিকিৎসার খরচ আর জোগাতে পারছেন না।এমত অবস্থায় বালুঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পারিজাতের চিকিৎসা এই হাসপাতালে সম্ভব নয়।পিকু-র ব্যবস্থা না থাকায় পারিজাতকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে বাইরে কোথাও।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে এক পরিবারের তিন নাবালকের মৃত্যু
পুজো পার্বণ করে কোন রকমে দুই ছেলে মেয়ে স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার চালান দীপঙ্করবাবু।ছেলের চিকিৎসার খরচ আর বহন করতে পারছে না।ছেলের চিকিৎসা করাতে আর বাইরে নিয়ে যেতে পারবেন না।সরকারি বা কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তির সাহায্য না পেলে ছেলের জীবন আর হয়তো বাঁচাতে পারবেন না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584