মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
আয়ারাম গয়ারাম রাজনীতি ক্রমশ গ্রাস করছে বাংলাকেও। তৃণমূল থেকে বিজেপি, বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে আবার তৃণমূল সঙ্গ ত্যাগ করে ফের বিজেপিতে এলেন কোচবিহার জেলার ভেটাগুড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত সদস্য। এ ফুল থেকে সে ফুলের এই ঘটনায় সাধারণ ভোটারদের কতখানি প্রভাবিত করছে এনিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে জন প্রতিনিধিদের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে সর্বত্র।
কোচবিহার লোকসভার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক তাঁর নিজের গড় ধরে রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে সফল হন। এদিন তাঁর হাত ধরেই ফের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে ফিরে আসেন ৭ সদস্য। তাঁর ফলেই ভেটাগুড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত ফিরে পেল বিজেপি। ফের এই গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে আসায় কোচবিহারের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল।
বৃহস্পতিবার ভেটাগুড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত সদস্য দিলিপ বর্মণ, বর্না ঘোষ, কাকলি মোদক, সুষমা বর্মণ, ববিতা মণ্ডল, যতীন্দ্রনাথ বর্মণ ও প্রভাতচন্দ্র দাস ফের বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ১০আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়তেটি ফের বিজেপির দখলে গেল। যদিও এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছোরাব আলী তৃণমূলেই ছিলেন আগাগোড়া তিনি কখনই বিজেপিতে যোগ দেননি। অপরদিকে প্রধান রতন বর্মণ ও সুমিতা বর্মণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সে দলেই রয়ে যান।
সম্প্রতি এই পঞ্চায়েতের সাত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরে ছিল। বারবার দল পরিবর্তনের এই বিষয়টি নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য যতীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, বিভিন্ন ধরণের ভয় ভীতি দেখাবার কারনে আমরা তৃণমূলে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগেই আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হেয়েছি। তাকে ছেড়ে যাওয়ার বাসনা আমাদের কখনই ছিল না। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হওয়ার পরও আমরা তাঁর সাথে ছিলাম।
কিন্তু তিনি সংসদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারনেই এই ঘটনা ঘটে ছিল। এই দিনেই ফের তৃণমূল সঙ্গ ত্যাগ করে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের হাত থেকে বিজেপি পতাকা গ্রহণ করে ওই সাত সদস্য। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ সদস্য-সদস্যাদের গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় গিয়ে কাজ শুরু করেন। এইদিন সাংসদ নিজেই তাদের ওই কার্যালয়ে পৌচ্ছে দেন।
আরও পড়ুনঃ আইনভেঙে নিশীথের চলাচল, নিশ্চুপ পুলিশ অভিযোগ উদয়নের
এ প্রসঙ্গে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, দিনহাটায় তৃণমূল পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁদের নেতা নেত্রীদের কেউ বিশ্বাস করেনা। সাময়িক ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়েও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে গেলেও তাঁরা আবার ফিরে এসেছে। কারণ তাদের দেহ গেলেও মন ছিল বিজেপির দিকেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584