শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ
শনিবার ব্যান্ডেল কাটোয়া রেল শাখায় কাটোয়াগামী রেলের যাত্রী কামরায় নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন থেকে একের পর এক মাছের ঝুড়ি ও খোলা মাছের পাত্র তোলার ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন যাত্রী সাধারণ।এই নিয়ে মাছ বিক্রেতাদের সাথে যাত্রী সাধারণের এক গোলমাল বাধে।যাত্রীদের অভিযোগ যে প্রতিদিন সকাল বেলাতেই যাত্রীবাহী ট্রেনের কামরায় প্রচুর পরিমাণে মাছ বিক্রেতারা মাছের ঝুড়ি তোলে এবং দুর্গন্ধে বসে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়। ভেন্ডার এগিয়ে মাছের ঝুড়ি নিয়ে যাবার অনুরোধ করলেও মাছ বিক্রেতারা কর্ণপাত করেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
যাত্রীদের অভিযোগ প্রতিদিন নবদ্বীপধাম রেলস্টেশন ও বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশন থেকে একের পর এক মাছ বিক্রেতারা মাছের ঝুড়ি ও মাছের ডেক নিয়ে যাত্রী কামরায় উঠে পড়ে।যাত্রীদের অভিযোগ যে বহু পচা মাছ যাত্রী কামরায় উঠার করে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে বসে থাকা যায় না।যাত্রীদের অভিযোগ যে এই ধরনের ঘটনা জি আর পি দের কাছে জানালেও কোন কাজের কাজ হচ্ছে না। জি আর পি’র এই নীরবতায় অবাক যাত্রীরা।এমনকি যেসব রেলস্টেশন থেকে মাছ বিক্রেতারা যাত্রী কামরায় ওঠেন সেইসব স্টেশনেও আর পি এফ এবং জি আর পি রেল স্টেশন মাস্টার ও টিকিটকালেক্টর কড়া ব্যবস্থা নেয় না।
ফলে সকালবেলাতেই যে সকল অফিস যাত্রী স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন কাজে বের হন তাদের পক্ষে যাত্রী কামরায় ওঠা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।পচা মাছের দুর্গন্ধে রেলের কামরায় যাত্রীরা বসে থাকতে পারেন না বলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
এই সকল মাছ বিক্রেতারা নবদ্বীপধাম রেল স্টেশন থেকে শুরু করে কাটোয়া পর্যন্ত বিভিন্ন রেলস্টেশনে নেমে পড়েন। কিন্তু ঘন্টাখানেকের রাস্তায় মাছ বিক্রেতাদের এই অত্যাচারে যাত্রীদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।
শনিবার এরকমটাই যাত্রীদের সঙ্গে মাছ বিক্রেতাদের বাকবিতন্ডা এবং বহাল তবিয়তে মাছ বিক্রেতারা যাত্রী কামরায় উঠে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর ছবি ধরা পরল।এই প্রসঙ্গে রেলের কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে নারাজ। যাত্রীদের অভিযোগ রেলের নিরাপত্তায় যারা থাকছেন তাদের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া হয়েই থাকে এই সকল ব্যবসায়ীদের সাথে,তাই কাজের কাজ কিছু হবে না বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584