শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
২৪ ঘণ্টা আগে স্বাস্থ্য বুলেটিনে ৯০ শতাংশ সুস্থতার হার পার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। সংক্রমণ যতটা সম্ভব আটকানো সম্ভব হয়, তার জন্য আগেভাগে পরিকল্পনা করে রেখেছিল রেল এবং রাজ্য প্রশাসন। তবুও বলা হয়েছিল যতটা সম্ভব সচেতন হতে হবে যাত্রীদেরই।
কিন্তু সাড়ে সাত মাস পর লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানো শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে মানুষজন নিয়ম মানলেও বেলা বাড়তেই সেই দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে ফেলল সাধারণ মানুষের একাংশ। আগামী দিনে এমন অবস্থা চললে পরিস্থিতি যে খুব ভালো হবে না, এমন আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।যাত্রীদের জন্য একাধিক কোভিড বিধি জারি করা হয়েছে। প্রত্যেক স্টেশনের স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা তো রয়েছেনই, একইসঙ্গে ট্রেনের কামরায় রয়েছে রেল রক্ষী বাহিনী।
নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বা মান্থলি বাড়িয়ে তারপর স্টেশনে গিয়েও নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল দাগ কাটা অংশের মধ্যে দাঁড়াতে হচ্ছে।সকালের দিকে লোকজন ঠিক মেপে মেপে ওঠা এবং নামা বজায় রাখা গেলেও অফিস টাইম শুরু হতেই লাটে উঠেছে করোনা বিধি। ফের ঠাসাঠাসি গাদাগাদি করে ট্রেনে সফর শুরু করে দিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। স্টেশনেও অনেকেরই মুখ থেকে নামানো মাস্ক। বারবার সচেতন করা হলেও অনেকেই ভ্রুক্ষেপ করছেন না।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ কলকাতায় ছট পুজোর কৃত্রিম জলাশয় তৈরির কাজ আটকে দিল কেএমডিএ
কিন্তু যাত্রীদের সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টার কসুর করেননি রেল এবং রাজ্য প্রশাসন। সকাল থেকে সব স্টেশনে করোনা বিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে যাত্রীদের জন্য। ট্রেনের কামরাতেও করোনা বিধি মেনে বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। বসার জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।যদিও সব স্টেশনেই থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্যানিটাইজেশনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ট্রেনের ভিতরেও সচেতনতা বার্তা লেখা হয়েছে। তার সঙ্গে চলছে প্রতিনিয়ত ঘোষণা।কিন্তু বেলা বাড়তেই পুরো বদলে গেল লোকাল ট্রেনের চেহারা।
আরও পড়ুনঃ করোনাতেও ১০ হাজার টাকা চাঁদার নামে গোটা মাসের বেতন ‘লুট’, গ্রেফতার ৩ ক্লাব সদস্য
ফের সেই পুরোনো ছন্দে ফিরল লোকাল ট্রেন। ঠাসাঠাসি করে ভিড় কামরায়। দরজায় ঝুলছেন যাত্রীরা। গাদাগাদি করে সফর করছেন যাত্রীরা। টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন ৷করোনা বিধি নিয়ে সচেতন করতে সব স্টেশনেই লেখা হয়েছে মাস্ক ছাড়া টিকিট নয়। কিন্তু বেলা বাড়তেই লাটে উঠেছে সেই দূরত্ব বিধি। টিকিট কাউন্টারগুলিতে দীর্ঘ লাইন।
অনেকেই মাস্ক নামিয়ে রাখছেন মুখের নীচে। নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মানছেন না ৷ পরিশেষে বলার কিছুক্ষণ পর আবার আগের মত ঠাসাঠাসি করছেন। মাস্ক না পরে ঘুরছেন। সেই পুরোনো ছবি ধরা পড়েছে অধিকাংশ স্টেশনে। এরপরে সংক্রমণ বৃদ্ধি হলে তার দায় সম্পূর্ণ যে রেল অথবা রাজ্য প্রশাসনের থাকবে না সে কথা বলাই যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584