বিশেষ প্রতিনিধি, নিউজফ্রন্ট:-
সবে মাত্র সতেরো পেরিয়ে আঠারোয় পড়লো দু’হাজার সহস্রাব্দ, আর এই ২০১৭ এর শেষ দিনটিতে, গত ৩১শে ডিসেম্বর, বালার্ক থিয়েটার গ্রুপ আয়োজন করলো “পথের পাঁচালী ২০১৭”।
বালার্ক আয়োজিত এই পথশিল্প উৎসব এদিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় রাণুছায়া মঞ্চে।
প্রথমেই একটি মিউজিক্যাল থিয়েটার পরিবেশন করে অরুণিমা হসপিস নামক একটি অনাথাশ্রমের কচিকাঁচারা।এরপর একে একে অব্যয়, মরমিয়া, ডাকঘর, উড়োতারের পথনাটক, বিদিশা বিশ্বাসের পাপেট্রি, অমিত রোহিলার মূকাভিনয়, ব্লিড বং এবং কনফিউশনের গানে মুখরিত হয় উৎসব এবং সমবেত দর্শকমন্ডলী।এদিন বালার্ক নিজেরা পরিবেশন করে তাদের প্রযোজনা “বরাহচরিত মানস”।বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে, তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের ভিতরকার অশিক্ষা এবং তারই সঙ্গে বস্তিবাসীদের ক্রমবর্ধমান জীবনযুদ্ধ ফুটে উঠেছে এই অনবদ্য প্রযোজনাটিতে।
এদিন বালার্ক সম্মান জ্ঞাপন করে অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটারের প্রাণপুরুষ, নন প্রসেনিয়াম থিয়েটারের কিংবদন্তী শ্রী প্রবীর গুহ’কে। প্রবীরবাবুর কথায়, “থিয়েটার কোথাও আটকে থাকার নয়, একজন দর্শক ও একজন অভিনেতা থাকলেই থিয়েটার সম্ভব।”এদিন এই উৎসবে গান, নাচ, পথনাটকের পাশাপাশি একই সাথে চলছিলো লাইভ পেইন্টিং এবং লাইভ হ্যান্ডিক্রাফট মেকিং। গিলি অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের আঁকায় সজ্জিত হয়ে ওঠে রাণুছায়া মঞ্চ সংলগ্ন সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের দেওয়ালটি। এদিন বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফটের সম্ভার নিয়ে উপস্থিত ছিলো ক্রাফটাস্টিক ও KMDB।উৎসব চলাকালীন উপস্থিত দর্শকদের কাছে ঘুরছিলো কতোগুলি ডোনেশন বক্স, যে ডোনেশন গ্রহণের কারণ কিছু শিশুর মুখে হাসি ফোটানো। “পথের পাঁচালী ২০১৭” থেকে ওঠা সম্পূর্ণ ডোনেশনটিই বালার্ক তুলে দেবে কিছু দুঃস্থ শিশুর হাতে; জামাকাপড়, বইখাতার আকারে।বালার্ক’র সদস্যদের কথায়, “বছরের শেষ দিনটা থিয়েটারকে ভালোবেসে, শিল্প কে ভালোবেসে, আমাদের এই উৎসবে মেতে উঠি আমরা বালার্কবাসী; আর যখন ঘরে ফিরি, আপন মনে হাসি এই ভেবে যে, নতুন বছরে কয়েকটা শিশুর মুখে অন্ততঃ হাসি ফোটাতে পারবো।আর এই আমাদের থিয়েটারের মূল উদ্দেশ্য।পথের পাঁচালীর মূল উদ্দেশ্য।”বছর শেষে থিয়েকর্মীদের এই উদ্যোগ মাতিয়ে দিল শহরবাসীকে। শহরজুড়ে হুল্লোড়ের মাঝে একটুকরো থিয়ে উদযাপনের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584