স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবিতে বিশ্বভারতীর পেনশনভোগীদের বিক্ষোভ

0
175

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

এবার অবস্থান- বিক্ষোভে সামিল বিশ্বভারতীর পেনশনভোগী কর্মী, অধ্যাপকরা। ক্ষোভের কারণ সেই উপাচার্যই। স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে পেনশনভোগীদের বঞ্চিত করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।বিশ্বভারতীতে কর্মজীবন শেষ করা প্রবীণদের ক্ষোভের কারণ হয়েছে এটাই।

protest | newsfront.co
বিক্ষোভ ৷ নিজস্ব চিত্র

তাই পড়ুয়া, অধ্যাপকদের মতই এবার ধরনায় বসতে হয়েছে এই প্রবীণদেরও। চড়া রোদ মাথায় নিয়েই মঙ্গলবার সকালে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিশ্বভারতীর শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, অধ্যাপক। আবেদন, আরজি, দরবারের পথে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পেনশনভোগীদেরও নামতে হয় রাস্তায়।

রাস্তায় নামার কারণ প্রাপ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে ব্রাত্য করা। কয়েকমাস আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশিকা জারি করে জানায়, বিশ্বভারতীর পেনশনভোগীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই যা জন্ম দেয় ক্ষোভের। আপত্তি ওঠে জোরালো ভাবেই। কিন্তু তাতে নির্দেশের কোনও রদবদল হয় না।

আরও পড়ুনঃ প্রার্থী বদলের দাবিতে সাহেবপোতায় বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

জানা গেছে, বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে পড়ুয়া, অধ্যাপক, কর্মী, আধিকারিকদের মত অবসপরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদেরও প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের সুবিধা রয়েছে দীর্ঘদিন থেকেই। সেই নিয়মেই ছেদ পড়েছে সম্প্রতি। ক্যাগ’র এক নির্দেশকে ঢাল করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নয়া নির্দেশ জারি করে পেনশনভোগীদের পিয়ারসন হাসপাতালে চিকিৎসা মিলবে না বলে জানায়।

তারপর থেকেই আপত্তি, নানা মহলে চিঠি করেও উপাচার্যের কোনও সদর্থক সাড়া না মেলায় পেনশনভোগীদের অবস্থান বিক্ষোভেরই পথ নিতে হয়েছে এদিন। উল্লেখযোগ্যভাবে সেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন খোদ বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক এবং আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত কর্মসমিতির সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের স্পষ্ট দাবি আমরা পিয়ারসন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা চাই।

তারজন্য যদি খরচ প্রদান করতে হয় তাতেও আমরা রাজি। আগে বছরে একটি নির্ধারিত ফি নিয়ে আমাদের মেডিক্যাল কার্ড দিত। সব সুবিধাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও চিকিৎসাই মিলবে না, ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যাবে না এমনকি প্রেশারটুকুও মাপা যাবে না এখন যেহেতু আমরা চিকিৎসাভাতা নিই বলে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমরা সবটাই লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানিয়েছি।”

আরও পড়ুনঃ ভোটের ভয় দূর করতে জিতপুরে রুটমার্চ জেলা প্রশাসনের

পেনশনভোগীদের অবস্থানের প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি বিশ্বভারতী একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী-অধ্যাপকদের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীকে নিতে হয়েছে ক্যাগ’র রিপোর্টের ভিত্তিতে। পেনশনভোগীরা মাসে এক হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন।

ক্যাগ প্রশ্ন তুলেছে, একইসঙ্গে চিকিৎসা ভাতা ও নিখরচায় চিকিৎসা- এই দুইই কীভাবে দেওয়া যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের গোচরে তা আনাও হয়েছে। সরকারের তরফে যদি কোনও সদর্থক নির্দেশ আসে তা কার্যকরী করতে বিলম্ব করবে না বিশ্বভারতী।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here