নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
পুরনো টিকার বুস্টার ডোজ পারবে না করোনার নতুন স্ট্রেনগুলির সংক্রমণ রুখতে, দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। WHO-এর টিকা উপাদান সংক্রান্ত উপদেষ্টা মণ্ডলী (TAG-CO-VAC) জানিয়েছে, পুরনো টিকাগুলির বুস্টার ডোজ বারবার দিলেও করোনার সংক্রমণ থামবে না; করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কাজে আসবে না ভ্যাক্সিন।
TAG-CO-VAC-এর মূল বক্তব্য হল, শুধু করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ নয় একই সঙ্গে প্রয়োজন এমন ভ্যাকসিন যা ফ্যাটালিটি কমাতে পারে। এই ধরনের ভ্যাক্সিন যতদিন না তৈরি করা সম্ভত না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এখন যে কোভিড টিকা রয়েছে তার উপাদানগত পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থাৎ, WHO-এর টিকা উপাদান সংক্রান্ত উপদেষ্টা মণ্ডলী কার্যত বলেই দিচ্ছে, উপাদানের উন্নতি না করতে পারলে বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি বিশেষ কার্যকরী নয়। পাশাপাশি, ওমিক্রন যে করোনার শেষ স্ট্রেন নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে WHO।
এরই মাঝে উঠে এসেছে ভ্যাক্সিনে অনীহার তথ্যও। তার জন্যে বেশীদূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই, দেখে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গের এই সংক্রান্ত তথ্য। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তারপর আর টিকাকেন্দ্রমুখো হননি শুধু শহর কলকাতাতেই এই সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৮২ হাজার। এই পরিসংখ্যান রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকার ওভারডিউ-এ প্রথমেই রয়েছে কলকাতা। তারপরে রয়েছে মালদহ- টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি ২ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ এবং তিন নম্বরে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, সেখানে ২ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে যাননি।
আরও পড়ুনঃ হরিদ্বারে ‘ধর্ম সংসদ’ সভায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ উত্তরাখন্ড সরকারকে
টিকা প্রস্তুত কারক সংস্থা ফাইজার এর সিইও জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই তাঁদের তৈরি চতুর্থ ডোজের টিকার ট্রায়াল এর কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মডার্না-র সিইও জানিয়েছেন একই পথে হাঁটছেন তাঁরাও। এর মাঝে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করছেন তাহলে উপায়? নির্দিষ্ট সময় অন্তর কি ভ্যাক্সিনের ভরসায় বাঁচতে হবে? এছাড়া প্রতিনিয়ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিমার্জিত, পরিশীলিত , সংশোধিত নির্দেশ তৈরি হওয়ার ফলে জনমানসে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। সধারণ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত মানুষের মনে সদা সংশয় – আসলে কোনটা ঠিক!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584