শ্যামল রায়, নবদ্বীপঃ
শনিবার লকডাউন চলাকালীন দুপুরে দেখা গেল চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামা তলা প্রাঙ্গণে মানুষজন বের হয়েছেন। এতদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে জামা কাপড় দোকান থেকে শুরু করে মোবাইলের, লোহার, চায়ের সহ একাধিক দোকান।
তবে পোড়ামা তলা রোডের চারপাশে ফার্মেসি ব্যাংক খোলা থাকলেও,লকডাউনের মধ্যে থাকা এই শনিবার দেখে মনে হচ্ছে ঠিক আগের মতই সচল শহর। তবে অনেকেই বলছেন করোনা ভাইরাসের হাত থেকে সারা দেশ জুড়ে যে লকডাউন চলছে,তা সত্যিই ভালো দিক।
লকডাউনের প্রয়োজন যথেষ্ট রয়েছে, কিন্তু এভাবে গৃহবন্দি হয়ে আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ পেটের তাগিদে আমাদের দোকানপাট খুলতে হয়েছে এবং প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ রুখতে ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এলাকায় অভিযান পুলিশের
তবে এদিন পোড়ামা তলায় আগেকার মতোই বহু মানুষ জনও রাস্তা দিয়ে তাদের কাজে যাচ্ছেন। এছাড়াও লকডাউনের মধ্যেও যে এতটাই স্বাভাবিক থাকা যায়, তা এই নবদ্বীপ শহরকে দেখেই প্রমাণিত।তবে লোকজন বেড়োলেও এলাকায় সিভিক পুলিশের যশ যথেষ্ট নজরদারি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে আটক ৮ শ্রমিক কোয়ারেণ্টাইনে, বিপাকে স্বাস্থ্যকর্মীরা
এ বিষয়ে নবদ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক কল্লোল কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, “লকডাউন মেনে চলা এবং দূরত্ব বজায় রেখে অতি অত্যাবশ্যকীয় কাজ ছাড়া কারোর উচিত নয় ঘর থেকে বের হওয়া। তবুও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব এবং নজরদারি রাখবো”।
অথচ নবদ্বীপ পুরসভার তরফ থেকে মাইক দিয়ে বারবার প্রচার করা হচ্ছে, কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। মাস্ক ব্যবহার করুন বাড়িতে সাবান দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার রাখুন। কিন্তু শনিবারের ছবিটা পুরোটাই উল্টো।
এদিন ব্যবসায়ীদের একটাই বক্তব্য, “লকডাউন মেনে চলা আমাদের খুব দরকার এবং প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু পেটের তাগিদে আজ দোকানপাট খুলে বসেছি, যাতে বিক্রি করলে কিছু পয়সা হাতে আসবে, যা দিয়ে সংসার বাঁচাতে পারবো”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584