শান্তনু পুরকাইত, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

আমপানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত গোটা জেলা। ডায়মন্ডহারবার মহকুমা এলাকার অবস্থা সংকটজনক। মগরাহাটে বুলবুলের প্রভাব তেমন একটা দেখা না গেলেও আমপানে বিধ্বস্ত করেছে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার অধিকাংশ জায়গায়।

মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষাধিক মানুষের বাস। অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর। যে টুকু আয় হয় তাতে সংসার চালানো দায় হয়ে পরে, তার উপর করোনার জের। লকডাউনে অর্থনৈতিক প্রভাব পরেছে সর্বত্র। ইদ উপলক্ষ্যে মানুষের মনে এখন বিষাদের সুর।

মগরাহাট এক নম্বর ব্লকে উত্তর কুসুম গ্রামপঞ্চায়েতের বরিজপুর গ্রাম। এই গ্রামে বড় বড় গাছ পরে ধ্বংস করেছে বসতবাড়ি। ক্ষতি হয়েছে চাষের ফসলে। এখনও পরে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। আতঙ্কে দিন গুনছেন অনেকে। বিষাদের সুর নিয়েই পালন করছেন ইদ উৎসব। একে অপরের সহযোগিতার মধ্য দিয়ে হাত বাড়িয়েছেন ইদের আনন্দে। নৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতে দেউলা গ্রাম। যেখানে দেখা নেই প্রশাসনের।

আজও অনেক বাড়িতে পরে রয়েছে ভাঙা গাছের টুকরো। রান্না ঘরে ইদের দিনে মিলেছে চাল আলু। মিষ্টির বালাই নেই। রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বিষ্ণুপুর গ্রাম। আজও মেলেনি যেথায় ত্রান সামগ্রী, মেলেনি ত্রিপল। একে অপরের আশ্রয় করে বেঁচে রয়েছেন অনেকে। ক্ষতির মুখে গ্রাম, চিন্তিত গ্রামবাসী।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হলো বিডিও’র


রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার আঁতুর ঘর এটি। অথচ কোথায় দুর্দিনে মন্ত্রী? কোথায় তাদের সাঙ্গপালের দল! অবশেষে নিজেরা নিজেদের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অধিকাংশ বাড়ি আজও ভগ্নাবশেষে রয়েছে। চাষের জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। তবুও সরকারি সহযোগীতা মিললে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বলে মত সাধারণ মানুষের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584