শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
করোনা হাসপাতাল খোলার সাথে সাথেই ভীড় জমতে শুরু করলো বালুরঘাটে। আজ পর্যন্ত সেখানে তিনজন রোগীকে ভর্তি রাখা হলেও আজ রাত্রেই বালুরঘাটের ডাংগি এলাকা থেকে আরও একজনকে এই নতুন করোনা হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
এছাড়াও গঙ্গারামপুরে আইসোলেশনে হরিরামপুরের পাঞ্জাব ফেরত একজনকে রাখা হয়েছে। এরপাশাপাশি জেলায় সদ্য দিল্লি থেকে নিজাম ফেরত ৪ জনের মধ্যে নিখোঁজ থাকা একজনকে আজ হিলি থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু করেছে। পাশাপাশি এই চার ব্যাক্তির পরিবারের লোকজনকেও চিহ্নিত করে কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখবার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুনঃ মেন্দাবাড়ির কালচিনি সরকারি হিন্দি হাই স্কুলে চলছে কোয়ারেন্টাইন সেণ্টারের কাজ
এদিকে যাদের বালুরঘাটের অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে তাদের সবার জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাস কষ্ট দেখা দেওয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এদের সবার সোয়াব ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে টেস্টিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ বালুরঘাটের ডাংগি অঞ্চলে যে ব্যাক্তিকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে, সেই ব্যাক্তি আজ প্রবল জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলে হাসপাতালের ডাক্তার তার যাতায়াতের ইতিহাস শুনে ও তার রোগের উপসর্গ দেখে অবিলম্বে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে। ওই ব্যাক্তি গত ১৭ মার্চ দুবাই থেকে মুম্বই এসে নামেন। তারপর সেখান থেকে বালুরঘাটের ডাংগির বাড়িতে আসেন ২২শে মার্চ। গত পরশু থেকে তার জ্বর সর্দি কাশি সহ অনান্য উপস্বর্গ দেখা দেয়। আজ শুরু হয় শ্বাস কষ্ট। তারপরেই তার বাড়ির লোকজন তাকে আজ বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসেন দেখাতে। পুরোবিষয়টি জানার পরেই নড়ে চড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই ব্যাক্তি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেলেও স্বাস্থ্য দফতর তাকে ও তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সহ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের ওই গ্রামে পাঠায়।
অপরদিকে বালুরঘাটের করোনা হাসপাতালে সদ্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া কালিম্পং এর সুনীতা দেবী সিং এর সাথে এক প্লেনে চেন্নাই থেকে ফেরা গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা এক তরুনীকেও রাখা হয়েছে। যদিও সে এখনও পর্যন্ত সুস্থ্য রয়েছে। তবে তার সোয়াব রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য দফতর নিশ্বাস ফেলতে পারছে না। ওই হাসপাতালে ওই তরুনীর বাবাকেও রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরা ছাড়াও ব্যাঙ্গালুরু ফেরত এক যুবককেও এই হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার বাড়ি বালুরঘাটের বোয়ালদার অঞ্চলের খাসপুর এলাকায়।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানিয়েছেন, এদের সোয়াব টেস্ট রিপোর্ট আসার পর এদের রোগের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা সম্ভব হবে। ততদিন এদের অবজারভেসন ও আইসোলেশনের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে জেলায় কোয়রান্টাইনে রাখার সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত করোনা পজিটিভ আক্রান্ত এমন কাউকে পাওয়া যায় নি বলে তিনি জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584