শ্যামল রায়, কালনাঃ
লক ডাউনের ষষ্ট দিন ছিল শনিবার। করোণা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্যই চলছে এই লকডাউন। কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন বাজারে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতারা কোন দূরত্ব বজায় না রেখেই, কেনাবেচা করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিভিন্ন বাজারে গিয়ে গণ্ডি কেটে দিচ্ছেন। এমনকি এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই ধরনের উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিয়েছেন।
কিন্তু বহু জায়গায় এই নিয়ম মানা হলেও, বেশ কিছু বাজারে দেখা গিয়েছে মানুষ কোন দূরত্ব বজায় না রেখে বাজার করছেন। অথচ ব্যাংকের এটিএম এবং বিভিন্ন ফার্মেসির দোকান, এমনকি মুদিখানার দোকানেও গণ্ডি কাটা থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই।
শনিবার পূর্বস্থলী পারুলিয়া বাজারে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতারা এই গণ্ডি না মেনেই বাজার করছেন।
এছাড়াও সমুদ্রগড় ধাত্রীগ্রাম কালনার বিভিন্ন বাজার, কাটোয়ার বেশ কয়েকটি বাজার, এবং পাটুলির লক্ষ্মীপুর বাজারেও এই দৃশ্য দেখা গেল।
আরও পড়ুনঃ নবদ্বীপ ফেরিঘাট বন্ধ, আপৎকালীন চলছে কয়েকটি নৌকা
এই রোগ কি ধরনের কার মধ্যে আছে কি না, তা বোঝা মুশকিল। তাই দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের যাতায়াত করার কথা বলা হচ্ছে বারবার। কিন্তু কিছু অবুঝ মানুষ এইসব তোয়াক্কা না করেই তারা বাজার যাচ্ছেন এবং কেনা বেচা করছেন।
তবে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আমরা যথেষ্ট সতর্ক ও নজরদারিতে দেখেছি। এই ধরনের বিষয়টি চোখে পড়লে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি বলে জানিয়ে দিলেন নাদানঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুদীপ দাস ও পূর্বস্থলী থানার পুলিশ আধিকারিক রাজেশ মিশ্র।
তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘিঞ্জি বাজার ছেড়ে,খোলা মাঠে বাজার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে প্রশাসনিক এবং বেশ কয়েকটি পুরসভার তরফ থেকে বারবার মাইকে ঘোষনা করে মানুষকে সচেতন থাকার পাশাপাশি এই লকডাউন মেনে চলার কথাও বলা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন, “আমরা মাইকের মধ্যে দিয়ে মানুষকে সজাগ সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়াও চলাফেরা কেনাকাটার উপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584