নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ
শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের টাইপু চা বাগানের হাটখোলা লাইনে ছয় বছরের এক কিশোরের পায়ে সংক্রমণ হয়ে মৃত্যু হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত কিশোরের নাম এসওয়ান্ত লোকার(৬)। জানা গিয়েছে যে বিগত তিন বছর থেকে পায়ের সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিল সে।
এরপর স্থানীয়রা একটি স্বেচ্চাসেবী সংস্থাকে চিকিৎসার জন্য বলেন। কিন্তু এলাকাবাসীদের অভিযোগ যে টাইপু চা বাগানের ম্যানেজার কিশোরের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। এবং ওই স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাকে চলে যেতে বলেন। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই কিশোরের পায়ের সংক্রমণ বেড়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন তাকে ওই চা বাগানের হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখান থেকে কোন রকম চিকিৎসা না করেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠায়। এরপর সোমবার ফের ওই কিশোরকে চিকিৎসকের কাছ থেকে দেখিয়ে আনা হয় এবং সন্ধ্যা নাগাদ ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এরপর পরিবারের লোকজন বাগানের ম্যানেজারের কাছে গেলে ম্যানেজার কোন কিছু বলতে চাইনি।
এই বিষয়ে স্থানীয় রোহিত ফর্জা বলেন যে কিশোরটি পায়ের সংক্রমণে অসুস্থ ছিল। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাচ্চাটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চাইলেও বাগানের ম্যানেজার সেই দায়িত্ব নিতে দেয়নি। পাশাপাশি বাগানের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
বাগানের অপর শ্রমিক রেশমা এক্কা বলেন যে, “আমরা যখন ম্যানেজারের কাছে গিয়েছিলাম তখন বাগানের ম্যানেজার আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর বাগান ম্যানেজার নিজেই পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ গভীর রাতে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।”
আরও পড়ুনঃ সাগরদিঘিতে ট্রান্সফরমারের দাবিতে বিক্ষোভ
এদিন সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে একটা বিক্ষোভ তৈরি হয় এবং শ্রমিকরা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পাশাপাশি বাগানের ম্যানেজারের সাথে কথা বলার দাবি জানাতে থাকে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বাগডোগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584