পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
চুরির মরসুম!ফের বীরভূমের মন্দিরে চুরি। বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে রামপুরহাটের আটলার পর এ বার মুরারই থানার অন্তর্গত চাতরা গ্রাম। একটি মন্দিরের বেশ কিছু আসবাবপত্র,সোনা, রুপোর সামগ্রী চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুরারই থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,বৃহস্পতিবার রাতে চাতরা গ্রামের রামকৃষ্ণ আশ্রমের মন্দিরে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটে।
আজ,শুক্রবার সকালে প্রধান পুরোহিত মন্দিরে এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙ্গা।ভিতরে আলমারির দরজা খোলা, জিনিসপত্র ছড়ানো, ছেটানো। প্রণামী বাক্সও ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে।ভিতরের সব টাকা গায়েব। সেই সঙ্গে আলমারির ভেতরে থাকা সোনা ও রূপোর গয়নার কোনও হদিস নেই। এর পরই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে।
বার বার বীরভূমের মন্দিরে চুরির ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, দুর্গা পুজোর সময় থেকে শুরু হয়েছে চুরির ঘটনা।এখনও অবধি মোট আটটি মন্দিরে চুরি হয়েছে।একটি চুরির ঘটনায় কিনারা করতে পারলেও বাকি চুরির ঘটনাগুলো এখনও আঁধারে।মন্দিরেগুলিতে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ, দাবি এলাকাবাসীর।
চলতি মাসের ৮ তারিখে বীরভূমের চিনপাইতে পর পর দু’টি মন্দিরে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ।সদাইপুর থানার ওসি রব খানকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে।ওই ঘটনার কিছু দিন পরেই রামপুরহাট থানার আটলা গ্রামে পরপর পাঁচটি মন্দিরে চুরি হয়।প্রায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে অপরাধীদের দ্রুত পাকড়াও করার আশ্বাস দেয় পুলিশ।এর পর ফের গতকাল রাতে চুরির ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ল পুলিশের।
আরও পড়ুনঃ পাঁচশত বছর পুরনো মন্দির সংস্কারের সময় হাড় উদ্ধার
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584