নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
চোপড়ার ঘটনা রাজনৈতিক মদত পেতেই পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে খুনের অভিযোগ ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছিল। পরে তা রাজনৈতিক দলের সমর্থন পায়। দুপুর পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলাজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। একটি সরকারি বাসে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে৷ দুটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধর্ষণের পরে খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্য সড়ক ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাট বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের জোনাল অফিসে আগুন
বিক্ষোভকারীদের দাবি যতক্ষণ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হবে ততক্ষণ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ চলবে। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমেছে চোপড়া থানার পুলিশ। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জ সহ জেলাজুড়ে প্রতিবাদে নামে বিজেপি। রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584